দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক হারে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এবং করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সোমবার দিবাগত রাত থেকে সাতদিনের ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সোমবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে গণপরিবহণ চলাচল করতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন মার্কেট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রবেশদ্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৭টি পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে, এই লকডাউনের ফলে জেলার আমের ব্যবসায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে প্রশাসন আমের ব্যবসাকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়ে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি, যা দেশের মোট সংক্রমণের পাঁচ গুণের বেশি। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশিরা দেশে ঢুকছেন। এর ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আগামী সাতদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হলো।’
লকডাউনের ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোগী বহনকারী যানবাহন, জরুরি পণ্য ও সেবা পরিবহণ ছাড়া সব ধরনের যানবহন বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নওগাঁ রুটে যান চলাচল করবে না। সব বাজারের দোকানপাট ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। তবে আমের বাজার ও আড়ত পৃথক পৃথক জায়গায় অবস্থানের মাধ্যমে বেচা-কেনা করা যাবে।