আকাশে মেঘের আনাগোনা ছিল আগে থেকেই। বাংলাদেশ ইনিংসের ৪১তম ওভারে নামে বৃষ্টি। এতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ৪১.১ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৯৬ রান বাংলাদেশের।
ক্রিজে থাকা মুশফিকুর রহিম ৮৫ রানে ব্যাট করছিলেন। তার সংগী সাইফউদ্দিন দুই রানে ব্যাট করছিলেন।
রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন মিরাজ।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ ৪১ রান করে আউট হয়েছেন। তার আগে তামিম ইকবাল ৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন। তিন বলে শূন্য করে আউট হন সাকিব।
লিটন দাস ৪২ বলে দুই চারে করেন ২৫ রান। ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় দলে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন।
এছাড়া রান পাননি আফিফ হোসেন (১০) ও মেহেদি মিরাজও (০)।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন। পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ মিঠুন জায়গা হারিয়েছেন। তাসকিনের জায়গায় অভিষেক হয়েছে পেসার শরীফুল ইসলামের। মোহাম্মদ মিঠুনও নেই একাদশে। তার জায়গায় খেলছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এক সঙ্গে দুটি প্রাপ্তির হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে তারা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো উঠবে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের চূড়ায়।
এর আগে আট সিরিজে মুখোমুখি হয়ে পাঁচটিতেই হোয়াইটওয়াশ হওয়া বাংলাদেশ এবার খেলছে ফেভারিট হিসেবে। ঘরের মাঠ, সব অভিজ্ঞ ও পারফরমারের উপস্থিতি আর প্রতিপক্ষ দলে অনভিজ্ঞের আধিক্য মিলিয়ে প্রথম থেকেই এগিয়ে তামিমের দল।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম
শ্রীলঙ্কা একাদশ : দানুশকা গুণাতিলাকা, কুসাল পেরেরা (অধিনায়ক), পাথুম নিসানকা, কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জায়া ডি সিলভা, আশান বান্দারা, দাশুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, লাকসান সান্দাকান ও দুশমন্ত চামিরা।