মুনমুন দত্তের পর এবার মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন ভারতের শোবিজ দুনিয়ার অপর সুন্দরী, যুবিকা চৌধুরী। সম্প্রতি নিজের ভøগে কতখানি খারাপ দেখাচ্ছে সেকথা বলতে গিয়ে একটি অশালীন মন্তব্য করে বসেন যুবিকা। যে শব্দের ব্যবহার তিনি করেছেন, তা হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য শুধু অবমাননাকর তা নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিধান অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কয়েকদিন আগে ঠিক এই শব্দ ব্যবহার করেই বিপাকে পড়েছিলেন তারকা মেহতা কা উলটা চশমা খ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে এসসি, এসটি আইন অনুসারে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে ইতোমধ্যেই। আর সেই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েকের ভিতরেই একই ভুল করে বসলেন প্রিন্স নরুলার পতœী। এসসি, এসটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জেরে অভিনেত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। যুবিকার বিতর্কিত ভিডিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে, অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চান অভিনেত্রী। তিনি বলেন, কারুর ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার কোনওরকম ইচ্ছে তাঁর ছিল না। তিনি জানান, ‘আমি ওই শব্দটার অর্থ জানতাম না, যেটা আমি নিজের ভøগে ব্যবহার করেছি। কারুর মনে কষ্ট দেওয়ার কোনও ইচ্ছে বা অভিপ্রায় আমার ছিল না। তবুও আমি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আশা করছি তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দেবে, অনেক ভালোবাসা’। তবে যুবিকাকে ক্ষমা করবার কোনও মুডেই নেই টুইটারের বাসিন্দারা। অভিনেত্রীকে গ্রেফতারির দাবিতে সরব নেটিজেনরা। যুবিকার এই আলটপকা মন্তব্যে না-রাজ নেটিজেনরা। কোনও সম্প্রদায়কে ছোট করবার অধিকার কারুর নেই, দাবি তাঁদের। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুম্বই পুলিশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে একনাগাড়ে আবেদন জানিয়ে চলেছেন তাঁরা।