আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে তিন সংস্করণের কোনোটিতেই অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে নেই বেন স্টোকস। তবে রিচার্ড হ্যাডলির কাছে স্টোকসই এখনকার এক নম্বর। রবীন্দ্র জাদেজা, সাকিব আল হাসানের মতো সমসাময়িক অন্যান্য অলরাউন্ডারদের কথা উল্লেখ করে নিউ জিল্যান্ডের এই কিংবদন্তি বললেন, উপযোগিতার দিক থেকে এই সময়ের সেরা অলরাউন্ডার স্টোকস। হ্যাডলি নিজেও ছিলেন অলরাউন্ডার। বোলার হিসেবে তাকে রাখা হয় সর্বকালের সেরাদের ছোট্ট তালিকায়ও। সঙ্গে ব্যাটিংয়েও ছিলেন বেশ কার্যকর। আশির দশকের বিখ্যাত চার অলরাউন্ডারের একজন তিনি। ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, ইমরান খান ও হ্যাডলি, এই চতুষ্টয়ের লড়াই ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায়গুলির একটি। তাদের নিয়ে এখনও অনেক আলোচনা হয়, লেখা হয় মহাকাব্য। সেই হ্যাডলি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন এই সময়ের অলরাউন্ডারদের নিয়ে তার ভাবনা। “ এই সময়ের অলরাউন্ডারদের যখন দেখি, বেন স্টোকসই এক নম্বর হিসেবে ফুটে উঠে। সে লড়াকু, দারুণ ব্যাটসম্যান, কার্যকর বোলার এবং এমন একজন, যে কিনা একাই ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়েছে। রবীন্দ্র জাদেজা, সাকিব আল হাসান, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মইন আলি, ক্রিস ওকস, জেসন হোল্ডার, সবাই নিজেদের সামর্থ্য দিয়েই যোগ্য।” আশির দশকের চার অলরাউন্ডারের পর লম্বা সময় বিশ্ব ক্রিকেট মাতিয়েছেন জ্যাক ক্যালিস। অলরাউন্ডার হিসেবে এই দক্ষিণ আফ্রিকান নিজেকে নিয়ে গেছেন সর্বকালের সেরাদের উচ্চতায়। সর্বকালের সেরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত স্যার গ্যারি সোবার্সের সঙ্গে ক্যালিসের তুলনা ও অন্য সব গ্রেট অলরাউন্ডারদের নিয়েও বললেন হ্যাডলি। “ জ্যাক ক্যালিস অসাধারণ অলরাউন্ডার ছিলেন। দুর্দান্ত মানের এবং প্রচ- অনুপ্রাণিত একজন। ব্যাটসম্যান হিসেবে সে দারুণ ছিল, যেটা তার মূল শক্তির জায়গা এবং তার বোলিং দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে ভালো জোগান দিত।” “ পরিসংখ্যানের দিক থেকে সে (ক্যালিস) ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডার। আসলে সর্বকালের সেরা কে, এটা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হতে পারে। শেষ পর্যন্ত, তকমাটা হয়তো স্যার গ্যারি সোবার্সেরই থাকবে। যুগে যুগে কিথ মিলার, টনি গ্রেগ, অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ ও শন পোলকের মতো অলরাউন্ডাররাও দাপট দেখিয়েছে।”