রাজশাহীর বাঘায় চুরি হয়ে যাওয়া ১৭ লাখ টাকা মূল্যের ১২টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত থাকায় খামারের আগের রাখাল জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) পুঠিয়া উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের এক আম বাগান থেকে মহিষগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। বাঘা থানার পুলিশ পুঠিয়া থানার সহযোগিতায় এই মহিষগুলো উদ্ধার করেন।
জানা যায়, সোমবার (২৪ মে) রাতে বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে পলাশী ফতেপুর চরের আশরাফ ঘোষের মহিষের খামার (বাথান) থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকার মূল্যেও ১২টি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায় তার খামারের আগের রাখাল জাহাঙ্গীর হোসেন। এ খবরটি জানতে পেরে ওই রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজশাহী পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়। তারপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বাঘা থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে পুঠিয়া উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের একটি আম বাগানে মহিষ গুলোকে চরানো (ঘাস খাওয়ানো) হচ্ছে। তারপর বাঘা থানার পুলিশ পুঠিয়া থানার সহযোগিতায় ১২টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় খামারের আগের রাখাল জাহাঙ্গীর হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
মহিষের মালিক বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে পলাশী ফতেপুর চরের আশরাফ ঘোষ বলেন, আমি কয়েক মাস আগে ১২টি মহিষ ক্রয় করে পদ্মার চরে খামার দিয়েছি। সেই খামারে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে রাখালের দায়িত্ব দেয়া হয়। সে আমার কথার কোন কর্ণপাত না করাড তাকে বাদ দেয়া হয়। সেই ব্যক্তি আমার সাখে প্রতারণা করে মহিষগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। তবে এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে আইনীর আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, চুরি হওয়া ১২টি মহিষসহ রাখাল জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।