ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীর পানি ৫থেকে ৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ওয়াবদা বেঁড়ি বাঁধ ছিড়ে চরকাজল লঞ্চঘাটসহ ছোট চরকাজল, বড় চরকাজল, ছোটশিবা, চর বিশ^াস ইউনিয়নের চর নজির, চর বাংলা, গলাচিপা পৌরসভার আড়তপট্টি, তালেব নগর আবাসন প্রকল্প, ১৩০ ব্যারাক, পেয়ারা বাগান, কলাবাগান, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়ার চর, চর কারফারমা, পানপ্িট্র ইউনিয়নের পানপট্টি লঞ্চঘাট, সন্নিরবান, গ্রামর্দ্দন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহীন শাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওয়াবদা বেঁড়ি বাঁধ পরিদর্শণ করে তাৎক্ষণিকভাবে বালু ও মাটির বস্তা দিয়ে ঝুকিপূর্ণ বদনাতলী ও পানপট্টি লঞ্চঘাট ওয়াবদা বেঁড়ি বাঁধের উপরে বাঁধ দেন।
চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চরকাজল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরকাজল লঞ্চঘাট এলাকার ওয়াবদা বেঁড়ি বাঁধ ছিড়ে যায়। এর ফলে লঞ্চঘাট এলাকাসহ ছোট চরকাজল, বড় চরকাজল, ছোটশিবা সম্পূর্ণভাবে পানিতে প্লাবিত হয়। এর কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্বিসহভাবে জীবনযাপন করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা প্রস্তত আছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক নির্দেশনা দেয়া আছে।