আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু দরগাহপুর সড়কে মৃত বৃক্ষরাজি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোন মুহূর্তে বৃক্ষ ভেঙ্গে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বিরাজ করছে।
সড়কের কুল্যার মোড়ে এবং কাদাকাটি টু দরগাহপুর অংশে অসংখ্য বড় বড় গাছ বছরের পর বছর মরে শুকিয়ে খাড়িয়ে আছে। এসব গাছের কোন পাতা নেই, কোন শাখাও জীবিত নেই। গাছের ডালপালা ও গায়ের ছাল শুকিয়ে সামান্য বাতাসে কিংবা এমনিতেই সড়কের উপর বা দোকান-পাট, ঘরবাড়ির উপর পড়ছে। অনেক সময় যানবাহন ও পথচারীর উপর গিয়ে পড়ছে। এতে অনেকে আহত হয়েছে এবং ঘরবাড়ি, যানবাহন ও দোকান পাটের ক্ষতি সাধন হয়েছে। কোন কোন স্থানে শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষ বৈদ্যুতির তারের কাছাকাছি থাকায় চরম ঝুঁকি বিরাহ করছে। এসব সমস্যা তুলে ধরে কয়েক বার পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট করা হলেও কর্তৃপক্ষ ভ্রুক্ষেপ করেনি বা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। ফলে ভুক্তভোগি ও এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করার পাশাপাশি ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে সড়ক ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে।
কুল্যার মোড় ও সড়কের বিভিন্ন স্থানের একাধিক ব্যবসায়ী, যানবাহনের ড্রাইভার ও জনসাধারণ জানান, মৃত গাছগুলো এতটাই দুর্বল হয়ে রয়েছে যে, চলতি ঝড়-বৃষ্টি মৌসুমে ঝড়ো হাওয়ার বইতে শুরু করলে এসব বৃক্ষ উপড়ে বা ভেঙ্গে পড়তে পারে। তখন পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের জানমালের ক্ষতির সমুহ সম্ভাব্যনা রয়েছে।
এব্যাপারে দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলি, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর কুমার সরকার দিপ ও কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী জানান, মরে যাওয়া বৃক্ষগুলো খুবই ঝুঁকিতে আছে। জানমালের ক্ষতির আগেই এগুলো সরিয়ে নেওয়া দরকার।