চট্টগ্রামের হালিশহরে বিদ্যুৎ এর রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের গ্রাহকসেবা আগের চেয়েও এখন উন্নত। এখন আর গ্রাহকেরা এখানে হয়রানির শিকার হতে হয়না। সেবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না। বিদ্যুতের যে কোন সেবার জন্য গ্রাহক সরাসরি অফিসে উপস্থিত হলে কিংবা কল করলেই দ্রুত কাজ হয়ে যাচ্ছে। ঘুষ লেন-দেনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অফিসের প্রতিটি কক্ষ এবং চারদিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অফিসের ভিতরে করা হয়েছে মুজিব কর্ণার। যেখানে গ্রাহকরা পত্রিকা পড়েন। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারেন। এছাড়াও গ্রাহকদের নিয়ে মাঝে মাঝে মত বিনিময় সভারও আয়োজন করা হচ্ছে। এতে গ্রাহকেরাও নতুন সংযোগ পেতে কিংবা বিল পরিশোধ করতে কোন প্রকার ঝামেলায় পড়তে হচ্ছেনা। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু টান্সফর্মাও বসানো হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গত ১০/০৯/২০২০ইং বিদ্যুতের রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছেন প্রকৌশলী সৈকত কান্তি দে। প্রকৃতপক্ষে তিনি যোগদানের পরেই এই অফিসের গ্রাহকেরা উন্নত সেবা পাচ্ছেন। অতিরিক্ত বিলের ঝামেলাও কমে গেছে। গ্রাহকরা অফিসে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছেনা। গ্রাহকদের দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য নিদিষ্ট নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করেও গ্রাহকেরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারছেন। অফিসে এসে গ্রাহকরা সেবা পেয়ে খুশি। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের ভোল্টেজ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু টান্সফর্মাও বসানো হয়েছে। হালিশহরের আই- ব্লক, এ- ব্লক, বি- ব্লক, এইচ- ব্লক, জি- ব্লক, জে- ব্লক, আবদুর পাড়া, শাপলা, বসুন্ধরা, কে- ব্লক এর বিভিন্ন জায়গায় নতুন অনেকগুলো টান্সফর্মা বসানো হয়।
বিশেষ করে মসজিদগুলোর সামনে নতুন নতুন টান্সফর্মা বসানো হয়; যাতে মসজিদে এসি চালাতে কোনো সমস্যা না হয়। উপর্যুক্ত এলাকাগুলোতে মুজিববর্ষ এবং ধারাবাহিক কাজের অংশ হিসেবে এসব টান্সফর্মা বসানো হয় বলে অফিসসূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের অনেকগুলো সংস্কার কাজও করা হয়। অফিসের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানও করা হয়। গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বসার নির্দিষ্ট কয়েকটি কক্ষ। করোনার এই সময়ে প্রকৌশলী সৈকত কান্তি দে বহু দরিদ্র মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন। এতে প্রকৌশলী সৈকত কান্তি দে ওপর গ্রাহকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি স্বীকার করলেন রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ভান্ডার রক্ষক বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ¦ লায়ন এ.এস.এম হোসাইনুর জামানও। তিনি বলেন, আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন আর লোডশেডিং কিংবা হয়রানি নেই।
বুধবার সকালে রামপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত কান্তি দে সাংবাদিকদের বলেন, আমার অফিস সবার জন্য খোলা। এই অফিসে প্রবেশ করতে কারও অনুমতির প্রয়োজন হয়না। অপেক্ষা করতে হয়না। গ্রাহকরা সরাসরি প্রবেশ করতে পারেন। সেবার জন্য লম্বা লাইন ধরতে হয়না। আমি এই বিদ্যুৎ অফিসের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আধুনিক সেবা দিতে আন্তরিকভাকে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের সেবা করাই আমার আসল লক্ষ্য। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।