রাজশাহীর বাগমারায় মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলাকারী তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিব কুমার জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন (৩৮), আফজাল হোসেন (৫০) ও জনাব আলী (৪৫)। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সালিশের জের ধরে একই এলাকার জাবেদ আলী, আফজাল হোসেন, আমজাদ হোসেন, জনাব আলীসহ ১৫ জন মিলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলা চালাই। তাদের হামলায় চেয়ারম্যান পালিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা আবদুল হান্নান, আবদুল মজিদ ও বুলেট নামের তিনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রউফ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ ৫/৬ জনকে আসামি করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ এজাহার ভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আসলাম আলী আসকান জানান, হায়াতপুর গ্রামের সাহাদ আলীর বাড়ি বাস্তর জমি নিয়ে সালিম বৈঠক চলছিল। সালিম বৈঠক চলাবস্থায় আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনানুসারের আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় চালাই।
আমি সালিশ বৈঠক থেকে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। খবর পেয়ে আমার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে আসামি সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় আমার ছেলে আবদুর রউফ বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি ওই সকল সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলার ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।