ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুল দপ্তরির হাতে প্রধান শিক্ষিকা আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিকাকে ওই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ্য
প্রহরী মারধর করেন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটেছে। মারধরের শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষিকার নাম নিলুফা খানম। তিনি উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মো. রকিব খান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম অভিযুক্ত দপ্তরি রকিব খানের বিরুদ্ধে পাগলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম জানায়, মহামারী করোনার কারণে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়াক শীট’ শেষ হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরি রকিব খানাকে ফোন করে ওয়াক শীট নিয়ে যেতে বললে রকিব খান তা শোনেনি। পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়াক শীট সংহগ্রহ করেন। ওই সময় দপ্তরি রকিব খান বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে। এতে দপ্তরি রকিব খান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শুরু হয় তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি।এক পর্যায়ের রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফা খানমের মাথার আঘাত করেন। এতে সে আহত হন। অভিযুক্ত দপ্তরি রকিব খান মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষিকা নিলুফার খানম আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাকে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। তদন্তপূর্বক শিক্ষা অফিস থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাগলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত দপ্তরি রকিবকে আটক করার চেষ্টা চলছে।