ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের ধাক্কায় আরাফাত (২০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।শনিবার (২৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের টিএ রোড রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সহযোগীদের মারধরে ট্রেনের সহকারী চালক জসিম (৪০) আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডবে ট্রেনের সিগন্যাল ব্যবস্থা পুরোপুরি অকেজো রয়েছে। জেলা শহরের তিনটি রেলগেট ভেঙে ফেলায় হাতের ইশারায় গেটম্যানকে কাজ করতে হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে জেলা শহরের টিএ রোড থেকে কাউতুলীর দিকে ৬-৭টি মোটরসাইকেলের বহর যাচ্ছিল। টিএ রোডের রেললাইন অতিক্রম করার সময় মালবাহী একটি ট্রেন চট্টগ্রাম অভিমুখে যাচ্ছিল। এ সময় রেললাইনের কাছাকাছি মোটরসাইকেলের বহর দেখে ট্রেন থেকে একাধিকবার হুইসেল দেয়া হয় এবং রেলের গেটম্যান বাঁশি বাজান।
কিন্তু মোটরসাইকেলের বহরের কেউ সিগন্যাল না মেনে রেললাইন অতিক্রম হতে গেলে একটি মোটরসাইকেল ট্রেনের ইঞ্জিনের আটকে পড়লে তা ধীরগতিতে সামনে টেনে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক মোটরসাইকেলে আটকে পড়া দুই তরুণকে টেনে নামিয়ে উদ্ধার করেন। এরমধ্যে আরাফাত নামের এক তরুণ আহত হন। ট্রেনটি শিমরাইলকান্দি এলাকায় গিয়ে থামালে মোটরসাইকেলের বহরে থাকা অন্যান্য তরুণরা ট্রেনের চালক আনোয়ার ও সহকারী চালক জসিমকে মারধর করে। আহতাবস্থায় জসিমকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাস্টার সোয়েব আহমেদ জানান, হেফাজতের তান্ডবের পর সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ আছে। এরমধ্যে রেলের গেটম্যানরা বাঁশি বাজিয়ে কাজ করছেন। তাদের সিগন্যাল না মানায় এই ঘটনা ঘটেছে। আহত ট্রেন চালককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, ‘সহকারী মাস্টারকে মারধর ও হামলার ঘটনায় আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।