আনোয়ারায় একটি শিয়ালের কামড়ে অন্তত ৪০জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন নোয়া রাস্তার মাথা এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। শিয়ালের কামড়ে আহত কয়েকজনকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে শিয়ালটিকে রাত ১০টায় মেরে ফেলেন। এতে আশপাশের এলাকায় শিয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রাত ৮টায় বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির লোকজন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। এ সময় তারা বাড়ীতে উঠানে বসে গল্প করছিল। তখন আচমকা একটি শেয়াল এসে একের পর এক কামড়াতে থাকে। এতে একজন অন্য জনকে রক্ষা করতে গেলেও কামড়ের শিকার হয়। কামড়ে আহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শিশু। আহতরা হলেন, নুর জাহান (৫২), ছেনোয়ারা বেগম (৫২), নুর আকতার (৪), আশরাফ আলী (৩৬), মো. সেলিম (২৬), হাশেম (৫৫), মো. জোনায়েদ (১৩), নুর আকতার (৪৫), ছেনোয়ারা বেগম (৪৫), আয়শা (৪), জমির (৩৪), বুলু আকতার, শাহীন আকতার, খালেদা (৪২), সাবিত্রি (৪৩), জেসমিন (৪০), রোহান (৭), নুর আক্তার (৩৯)। আহত আশারফ আলী বলেন, রাতে বাড়ি ফেরার পথে একটি শেয়াল তাদের ৪ জনকে কামড় দেয়। শেয়ালের কামড়ে আহত হয় এলাকার অন্তত ৪০ জন। এই ঘটনার পর এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে শিয়ালটিকে রাত ১০টায় মেরে ফেলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য চাঁদ মিয়া বলেন, শনিবার রাত ৮টার পরে একটি শেয়াল আচমকা এলাকার বসত বাড়িতে ঢুকে একের পর এক নারী পুরুষসহ অন্তত ৪০ জনকে কামড় দেয়। আনোয়ারা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মো. সাইফুদ্দিন বলেন, শেয়ালের কামড়ে আহতদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কুকুরের কামড়ের মতোই শেয়ালের কামড়ে আহতদেরও সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।