কচুয়া উপজেলার সদ্য প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমানের ছেলে কচুয়া যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাবুর নামে মিথ্যা মামলা প্রথ্যাহারের দাবীতে মাঠে নামেন কয়েক হাজার এলাকা বাসী। গতকাল ২৯ মে শনিবার সকালে জেলা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষ বাগেরহাট পিরোজপুর মহা সড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন করেন।একই সাথে কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা।
মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী বলেন ,মেহেদী হাসান বাবু কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিন তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমানের ছেলে এবং রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। কিছুদি পূর্বে মাহফুজুর রহমান মারা যান।তার মৃত্যুর পর উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনকে লক্ষ করে কতিপয় ব্যক্তি মেহেদী হাসান বাবুর দলীয় নমিনেশন ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।বাবু ও তার পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ওই পক্ষটি।
প্রয়াত এসএম মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী, রাড়িপাড়া যুবমহিলালীগের ইউনিয়ন সভানেত্রী ও রাড়িপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সমার্থিত চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন,আমার স্বামী সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার রয়েছে ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে একাধিক বার রাড়িপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন। দু:খের বিষয় হচ্ছে আমার স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে একটি পক্ষ আমাদের পরিবার নিয়ে ষড়যান্ত্র শুরু করে আমাদের পরিবারের উপর একর পর এক আঘাত হানছে।
নাজমা আক্তার আরো বলেন, তিনি যেদির মারা গেলেন তার পরদিনই আমাদের দুই দুইটি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য অপচেস্টা চালানো হয়েছে।এর পরের দিন আমার বড় ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর উপর হামলা চালানো হয়।আবার ষড়যন্ত্র মুলকভাবে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়।এটা কোন ভাবেই কম্য নয়।আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
ক্রাচে ভর দিয়ে মানবন্ধনে উপস্থিত লোকমান জানান, আমার পাওনা টাকা চাওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান যেদিন মারা গেলেন, ঠিক সেইদিন রাড়িপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলো মেম্বর ও তার দুই ছেলে বায়জিদ ও শামীম আমাকে মেরে আমার পা ভেঙ্গে দেয়।আমাকে জমি কিনে দেবার কথা বলে ২লক্ষ টাকা নিলেও তা ফেরত পায়নি।
লোকমান আরও বলেন,আমাকে জমি কিনে দেবার কথা বলে দেলো মেম্বর যে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছিলো, সে জমি সে আমাকে কিনে দেয়নি।পরে বিষয়টি উপজেলা চেযারম্যানকে জানাই।তিনি শালিশ করে ১ মাসের মধ্যে আমার আমার টাকা দিয়ে দিতে বলেন।এর ২০/২৫ দিন পর চেয়ারম্যান সাহেব অসুস্থ হয়ে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি হন।পরে বিষয়টি বাবু ভাইকে জানাই।তিনি মেম্বর সাহেবের সংগে আমার বিষয় নিয়ে কথা বললে মেম্বর টাকা ফেরত দিয়ে দেবার তারিখ দেন।কিন্তু মেম্বর সাহেব সাহেব সেই তারিখও টাকা দেন না।পরে আবার আমি বাবু ভাইকে জানাই।তিনি আমাকে বসিয়ে রেখে মেম্বরের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গেলে, মেম্বরের লোকজন বাবু ভাইয়ের উপর হামলা চালায়।আমার মত অসহায় মানুষে পাশে দাড়াতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হলেন।আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে বাবু ভাইয়ের উপর মিথ্যা মামলা প্রথ্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
রাড়িপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দত্ত বলেন, এসএম মাহফুজুর রহমান আমাদের মাথার উপর দীর্ঘ বছর বট গাছের ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন, সেই জননেতা আজ আর আমাদের মাঝে বেঁচে নেই।আজ আমরা অভিভাবক শুণ্য হয়ে পড়েছি।রাড়ীপাড়ার মানুষ আজ অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে।তাই আমাদের রাজনৈতি অভিভাবকের নিকট আমদের একটি মাত্র দাবি,আমাদের প্রান প্রিয় নেতার অবশিস্ট দিনগুরৈা যেন এই পরিবারের কাউকে দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমনে সুযোগ দেওয়া হয়।
মানবন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠানিক সম্পাদক শরীফ তুহিন মাহমুদ,তিনি বলেন একটি চক্র বাবু ভাইকে দলের কাছে হেয় করার জন্য বিভিন্ন প্রকার অপচেস্টা চালাচ্ছে।উর্ধ্ভতন কতৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি নিরাপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যাতে এই ষড়যন্ত্রের জাল থেকে বেড়িয়ে আসতে পারি তার ব্যবস্থ্য করা।মানব বন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন সাইনবোর্ড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক বিষœু পদ দেবনাথ,ব্যবসায়ী মো: লুতফর রহমান খান, অনিক ও সজীব প্রমুখ।