যৌতুকলোভী স্বামীর দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এতে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেছে নির্যাতিতা গৃহবধূ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শালীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরনের ঘটনায়ও মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের বলারামপুর গ্রামের।
রোববার সকালে ওই ইউনিয়নের চরপৈক্কা গ্রামের আতাহার বেপারী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ২০১৩ সালের সামাজিকভাবে তার কন্যা রহিমা বেগমকে বলারামপুর গ্রামের মৃত এছাহাক শেখের পুত্র ছিদ্দিক শেখের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্নসময় রহিমাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল ছিদ্দিক শেখ। চলতি বছরের ১ মার্চ বিদেশে যাওয়ার কথা বলে ছিদ্দিক তার মেয়ে রহিমাকে দুই লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় অন্তঃসত্ত্বা রহিমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে পাঁচ বছরের ছেলেসহ তার (আতাহার) বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নির্যাতনে রহিমা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আতাহার বেপারী আরও জানান, বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জরুরীভাবে রহিমাকে সিজার করানোর জন্য পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে রহিমাকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে সিজার করানোর পর একটি মৃত সন্তান জন্মগ্রহন করে। এ ঘটনায় রহিমা বেগম বাদি হয়ে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যৌতুকলোভী ছিদ্দিক শেখ তার সহযোগিদের নিয়ে স্কুলপড়-য়া শালী লামিয়া খানমকে জোরপুর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় লামিয়ার বাবা বাদি হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন।