জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর পাড়ে প্রায় ৭শ একর জমির উপর দেশের সর্ববৃহৎ ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন শেখ হাসিনা সোলার পার্ক স্থাপিত হতে যাচ্ছে। তাই গত রোববার (৩০মে) দুপুরে নির্মাণ কাজের জমি বন্ধবস্ত চুক্তিপত্র দলিল স্বাক্ষর করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রকল্পের জন্য মাদারগঞ্জ উপজেলার কাইজার চর মৌজার ৬শ ৭৪ একর অথাৎ ৩২৫ দশমিক ৬৫৩ একর এবং বি-আর পাওয়াজেন লিমিটেডকে ৩৪৮ দশমিক ৩৪৮ একর অকৃষি খাস জমি দীঘর্ মেয়াদী চুক্তিপত্র বন্ধবস্ত দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। জামালপুরের উন্নয়নের প্রাণ পুরুষ,পথিকৃত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির অব্যাহত প্রচেষ্ঠায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানোগ্রহে নবায়নযাগ্য জ¦ালানি প্রসার ঘটাতে বিদ্যুৎ জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় উদ্ব্যোগ গ্রহন করে। তারই প্রেক্ষিতে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় দেশের সর্ববৃহত ‘শেখ হাসিনা সোলার পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। রুবাল পাওয়ার কোম্পানি লিঃ(আরপিসিএল) এবং বি আর পাওয়ার জোন লিমিটেড (আরপিসিএল) নামে বেসরকারি দু’টি সংস্থা যৌথ ভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ইতঃপূর্বে বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড এর পক্ষ থেকে গত বছরের ১৮ নভেম্বর সরকারী জমি বন্দোবস্তের জন্য ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং অন্যান্য ফি বাবদ ২ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৯২০ টাকা জমা দিয়েছেন। অপরদিকে রুরাল পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড গত বছরের ১৬ জুলাই সরকারী জমি বন্দোবস্তের জন্য ৩১ কোটি ৩৪ লাখ ৬২৩ টাকা এবং অন্যান্য ফি বাবদ ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৯ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছেন।
চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অন্ষ্ঠুানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান এবং বি আর পাওয়ার জোন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ও রুবাল পাওয়ার (আরপিসিএল) কোম্পানি লিঃ পক্ষে প্রাণতোষ চন্দ সাহা নিজ নিজ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ কবির উদ্দিন আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মোখলেছুর রহমান,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান,রুবাল পাওয়ার কোম্পানি লিঃ এর কর্মকর্তা পাপন দাস প্রমুখ।
প্রকল্প পরিচালক মো.ফেরদৌস রহমান গণমাধ্যমকে বলেন,তারা যৌথভাবে সোলার প্যানেল বসিয়ে সূর্য্যরে আলো থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করে। তিনি বলেন প্রকল্পের কাজ জুলাই/২১ থেকে নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন,২৫ বৎসর মেয়াদী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে। পাশাপাশি এখানকার ১৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসনও করা হবে।