বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কাজিসা গ্রামের সিকদার বাড়ি মৎস্য প্রকল্পে জোর পূর্বক মাছ চাষের পায়তারা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কাজিসা গ্রামের কৃষক ও জমির মালিক মিজানুর রহমান,চান মোহন, রাজেন মহুরী, সফিকুল ইসলাম চান,ওমর আলী সিকদারসহ শতাধিক ভূক্তভোগীরা স্থানীয় সংবাদিকদের জানান, একই এলাকার আরাফাত আলী মল্লিকের ছেলে কামাল মল্লিক, আতাহার মল্লিকের ছেলে রুহুল আমিন মল্লিক, মজিদ মল্লিকের ছেলে মোক্তার মল্লিক, শরৎ চন্দ্র সমদ্দারের ছেলে বিমল চন্দ্র সমদ্দার জোরপূর্বক সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমিতে গত তিন বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে।
তারা অরো বলেন, মাছচাষের আগে একর প্রতি ৯০ থেকে ৯৫ মন ধান উৎপন্ন হত। বর্তমানে একর প্রতি ৩০-৩৫ মন ধান উৎপন্ন হয়। মাছ চাষ বন্ধের দাবীতে আমরা বরিশাল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ কারণে মৎস্য প্রকল্পের ভিতরে অতি মাত্রায় ইউরিয়া, দস্তা, টিএসপি ও চুন ব্যবহার করায় ইরি বোরো মৌসুমে ধান চাষ করলে ফলন কম হয়। ফসলী জমিতে মাছ চাষ করায় সরকারি রাস্তা, কবরস্থান ও বসতবাড়ি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীণ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মানুষ স্কুল-কলেজ পড়-য়া শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। মৎস্য প্রকল্পের আশপাশের পরিবারগুলোর বাড়িতে পানিউঠে তলিয়ে যায়।
অভিযুক্ত কামাল মল্লিক, রুহুল আমিন মল্লিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সকল জমির মালিক একত্র হয়ে অনুমতি দিলে মৎস্য চাষ করব, নতুবা জোর পূর্বক মাছ চাষ করব না।