নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সঙ্গে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার সংযোগ স্থাপনকারী সারওয়াতলী সেতুটির পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল যানবাহন ও জনসাধারণ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে না দেখায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা জনসাধারণে দূভোর্গ চরমে পৌছেছে।
জানাগেছে, সেনবাগ-বক্সগঞ্জ সড়কের ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের সাওয়াতলী অংশে সেনবাগ এলজিইডি বিগত ১০/১২বছল আগে সেনবাগ উপজেলার সঙ্গে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সংযোগ স্থাপন করার জন্য দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে সেতুটি নির্মান করে। কিন্তু নিন্ম মানের মালামালা দিয়ে সেতুটি নির্মান করায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে ক্রুটি দেখা দেয়। যার ফল শ্রুতিতে সেতুটির পটাতন ভেঙ্গে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী সড়কের যাতায়াতের গুরুত্বপুর্ণ এ সেতুটির পাটাতনের কিছু অংশ ও সেতুটির দুই পাশে^ নিরাপত্ত রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণকে চরম ঝুকি নিয়ে অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সেতুটির ভেঙ্গে যাওয়া গর্তে গাছের ডাল পালা ও সেতুটির ভেঙ্গে পড়ায় দুই পাশে^ নিরাপত্ত রেলিং পাশে^ লাল পতাকা দিয়ে সর্তকতা মূলক চিহৃ দিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে চরম ঝুকি নিয়ে হালকা ও ছোট যানবাহন চলাচল করলেও বড় কোন যান চলাচল করতে পারছেনা। ফলে এই দুই উপজেলার ব্যবসা বানিজ্যে জনসাধারণকে অধিক টাকা ও সময় ব্যায় করে অন্যপথে মালামাল পরিবহন করতে হচ্ছে।
ওই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী ডাঃ তপন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, জরুরী ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কার করা না হলে ভাঙ্গনের অংশ আরো বেড়ে যাবে। এতে সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল একে বারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সেতুটির দুরঅস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি সেতুটি দ্রুত সংস্কার ও পূর্ন নির্মানের দাবী জানিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সম্বনয় সভায় উপস্থাপন করেছেন।
এব্যাপারে যোঘাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহানুর আলম সেতুটির পতটান ও রেলিং ভেঙ্গে যাবার কথা স্বীকার করে বলেন,আগামী অর্থ বছরে সেতুটি পূর্ন নিমার্নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।