যশোরের কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে এক বছর মেয়াদ থাকা সত্বেও প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র থেকে রেহায় পেতে কন্দর্পপুর এলাকার ঘের মালিক খালিদ হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সরজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ কেশবপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
প্রেসক্লাবে হলরুমে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠকালে খালিদ হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে তিনি পাঁচ বছরের জন্য উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কন্দর্পপুর এলাকার হাজরা তলার কুড়ের বিলে প্রায় ১৩০ বিঘা মাছের ঘের জমির মালিকদের কাছ থেকে হারি নেন। তিনি ওই ঘেরের জমির মালিকদের হারির টাকা পরিশোধ করাসহ সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশনও করেছেন। বিভিন্ন দফতওের পাটসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ করেছে তার আদৌ কোন সত্যতা নেই। জমির মালিকদেও নিয়মিত হারির টাকা পরিশোধ করা হলেও এলাকার চিহ্নিত কুচক্রী কন্দর্পপুর এলাকার আবদুল লতিফ, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মান্নান গাজী ও রুহুল আমিন হিরন তাকে ও তার পরিবারের লোকজনের নামে সাংবাদিকদের কাছে ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এ ছাড়া মাছের ঘেরের বেড়ি কেটে দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করাসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। এ কারণে এলাকায় তার ও পরিবারের মানহানি হচ্ছে। তাদের হাত থেকে রেহায় পেতে ও সঠিকভাবে ঘের করার লক্ষ্যে সরজমিনে তদন্তের জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনসহ কেশবপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, জমির মালিক আবদুর রশিদ, সোহাগ হোসেন ও লিটন গাজী।