পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কচ্ছপখালী গ্রামে মোটরসাইকেল চালক মিরাজ ভদ্র হত্যা ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি মহিপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে জড়িতদের নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডের অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার বেলা একটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন নিহতের পিতা সিদ্দিক ভদ্র।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ মে সকালে কুয়াকাটা সংলগ্ন কচ্ছপখালী লেক সংলগ্ন মরিচ ক্ষেত থেকে মিরাজের মরদেহ স্থানীয়দের কাছ খেকে খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় মিরাজের পরিধেয় প্যান্টের চেইন ও বেল্ট খোলা ছিলো। নাক থেকে রক্ত ও মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিলো। বুকের ডান পাশে পাজরের নিচে ও উপরে আঘাতের চিহ্ন ও ডান বাহুতে তিনটি পোড়া ক্ষত চিহ্ন ছিলো।
তিনি অভিযোগ করেন, মিরাজকে হত্যার পিছনে তার প্রথম স্ত্রী ফারজানা, তার প্রেমিক রাকিবসহ সজিব, ফোরকান মিয়া ও মামুন জড়িত। এ বিষয়টি মহিপুর পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ তাদের নাম বাদ দিয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে তাদের না জানিয়ে। মামলা দায়েরের পাঁচদিন পর তারা জানতে পারেন ওই আসামীদের নাম এজাহারে নেই। তাদের থানা থেকে পাঁচদিন পর মামলার কপি সরবরাহ করার পর এ বিষয়টি জানতে পারেন। তাদের অভিযোগ পুলিশ রহস্যজনক কারণে ওই আসামীদের নাম বাদ দিয়া একটি দায়সারা গোছের এজাহার রেকর্ড করেছে।
সংবাদ সম্মলনে তাদের দাবি, মিরাজ হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং প্রকৃত আসামীদের নাম এজাহারে অন্তভূক্ত করা হোক।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আসামি বাদ দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা যেভাবে বলেছে সেভাবেই এজাহার রেকর্ড করা হয়েছে। আর পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান