সীমান্ত জেলা মেহেরপুরে দিনদিন করোনা রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসচেতনার অভাব ও প্রশাসনিক নজরদারি তুলনামুলক কম থাকায় করোনা রুগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে ধারনা সচেতন মহলের। দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে করোনা ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে বলে আশংখা স্থানীয়দের।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,গত ৭ দিনে শতাধিক রুগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার একদিনেই ২১ জন করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত রুগীদের বাড়ি সীমান্ত এলাকায়।
জানা গেছে,মেহেরপুর সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম সহ মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর,মাঝপাড়া,আনন্দবাস,গাংনী উপজেলার কাজিপুর, হিন্দা, সহড়াতলা, কাথুলী ও তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় করোনা রুগীর সংখ্যা বাড়ছে।
করোনা আক্রান্ত রুগীদের স্বজনদের দাবি,সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রমিকরা কাজ করে সেখান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য বিজিবি সদস্যরা সর্তক থাকলে ভারতীয় নাগরিকদের কাছ থেকে করোনা সংক্রামন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এদিকে জেলার সর্বত্রই মাস্ক বিহীন যত্রতত্র চলাচল এবং হাট বাজারে স্বাস্থ্যবিধির বালাই না থাকার কারণে চরম ঝুকিতে রয়েছে সীমান্ত জেলা মেহেরপুরের জনসাধারন। স্থানয়িদের দাবি মেহেরপুর ও মুজিবনগরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হলেও গাংনী উপজেলায় কোন তৎপরতা নেই।
৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে:কর্নেল ফরহাদ হারুন চৌধুরী জানান,সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যাতে করে অবৈধভাবে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মো: নাসির উদ্দীন জানান,্এখনই সচেতন না হলে করোনা সংক্রমন এ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গত ১ সপ্তাহে যে পরিমান করোনা আক্রান্ত হয়েছে। গত ১ মাসেও সেই পরিমান রুগী করোনা আক্রান্ত হয়নি। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত রুগী সংখ্যা ৮৫ জন। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর-২০, গাংনী-৩৯, মুজিবনগর - ২৬) জন।
এছাড়া এ পর্যন্ত মৃত্যু ২৩ জন করোনা আক্রান্ত রুগীর মৃত্যু হয়েছে। মেহেরপুর সদর ১০, গাংনী- ১০ ও মুজিবনগর ৩। সুস্থ্য হয়েছে ৮৬৬ জন। মেহেরপুর সদর-৪৯৯, গাংনী -২৬৯ ও মুজিবনগর- ৯৮।