রংপুরের পীরগঞ্জে এক মাদ্রাসায় ভুয়া এতিম দেখিয়ে ক্যাপিটেশন গ্রান্ডের অর্থ তছরুপের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তিভোগী অভিভাবকের পক্ষে খাজা মিয়া উপজেলার খামার সাদুল্যাপুর জাহেদিয়া মজিদিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে বুধবার এ অভিযোগ করেন। প্রাপ্ত অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসাটিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০ জন শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা জীবিত থাকাবস্থায় তাদেরকে মৃত. দেখিয়ে ক্যাপিটেশন গ্রান্ড প্রাপ্তির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এতে দেখা যায় ওই খামার সাদুল্লাপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ২ সন্তানের জনক রাসেদ মিয়া, রউফ মিয়ার ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টস এ কর্মরত সেফাত মিয়া, ফিরোজ মিয়া (সন্ধান)’র ছেলে ঢাকায় গার্মেন্টেস চাকুরিরত রাকিবুল ইসলাম, লাল মিয়ার ছেলে রুমান মিয়া, এক মোরগ ব্যবসায়ী মানিক মিয়া, আকবর আলীর ছেলে দাখিল শ্রেণীর ছাত্র বরকত আলী, আলহাজ¦ আবদুল আজিজের ছেলে শঠিবাড়ী মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত বাইজিদ মিয়া ও মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ ইব্রাহিম প্রধানের ২ ছেলে হুমায়ুন এজাদ ও মঈন উদ্দিন, রেলা মিয়ার ছেলে পোশাক শ্রমিক আরিফুল, রফিকুল মিয়ার ছেলে দশম শ্রেনীর ছাত্র লিওন মিয়া, মধু মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী মিরাজুল মিয়া, চাঁন মিয়ার ছেলে ২ সন্তানের জনক ভ্যান চালক বুল্লু মিয়া, জয়দাল মিয়ার ছেলে ভ্যান চালক আতিকুর মিয়া, সুধা মিয়ার ছেলে পার্বতীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র সৌরভ মিয়া, নওয়াব মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিসাদ মিয়া, হায়দার মিয়ার ছেলে পিয়াস মিয়া। একই ইউনিয়নের বড় পাহাড়পুর গ্রামের বেলাল মিয়ার ২ ছেলে রোমান মিয়া ও হোজাইফা মিয়া, আনিছার মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া, জলিল মন্ডলের ছেলে আরোশ মন্ডল, জলিল মিয়ার ছেলে মোত্তালিব, মহিদুল ইসলামের ছেলে শিয়াত, তালেব মিয়ার ছেলে আবু হাসান, ইউসুফ মিয়ার ছেলে ইয়াসিন, শহিদুল মিয়ার ছেলে এফাত মিয়া, শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল, নওশা মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন, আলামিন মিয়ার ছেলে সজিব, ফজলু মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া, খাজা মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া, মতলুবুর রহমানের ছেলে আদিল মিয়া ও ছায়েদ মিয়ার ছেলে ছাব্বির মিয়াকে ওই মাদ্রাসার এতিম ছাত্র দেখিয়ে তাদের নামে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে উত্তোলিত অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত অভিযোগ মতে ৬০ জন ভূয়া এতিম শিক্ষার্থীর প্রতিজনের নামে মাসিক ২ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হারে উত্তোলন করা হয়ে থাকে। উল্লিখিত ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলেন- আমরা জীবিত রয়েছি অথচ আমাদেরকে মৃত. দেখিয়ে এবং আমাদের সন্তানদের এতিম সাজিয়ে বছরের পর বছর ধরে তারা ভুয়া এতিম বানিয়ে তাদের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ তছরুপ করে আসছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। এই অর্থ ব্যয়ে তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন- আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন-বিষয়টি গুরুৎে¦র সাথে দেখা হচ্ছে।