মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে যানজট নিরসনে সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতি ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সাথে থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মতবিনিময় করেছেন।
বুধবার বেলা ১২ টায় থানা আঙ্গিনায় কর্মকর্তা ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পুলিশ উপপরিদর্শক সেকান্দার আলীর সঞ্চালনায় সিরাজদিখান বাজার রোডে গোয়ালবাড়ির মোড় হতে উপজেলার মোড় পর্যন্ত আধা কি.মি. এলাকায় দীর্ঘ যানজট নিরসনে করনীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ-সময় বাজার বনিক সমিতি ও ওষুধ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, অটোরিকশা যত্রতত্র বেপরোয়া চলাচল, অবৈধ পার্কিং ও বাজারে ব্যাস্ততম রাস্তায় যাত্রী ওঠানামা। তাছাড়া বাজারের এই রাস্তায় যাত্রীবাহি বাস তিনটি স্থানে যাত্রী উঠানামা করে। দিনের বেলায় ট্রাক ও পিকাপে মালামাল ওঠানামা যানজটের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা। এ ছাড়া আলোচনায় আরো উঠে আসে বাজারের এ সড়কে চলাচলরত দুই পাশের ফুটপাতে অসংখ্য দোকান রয়েছে। বাজারের কাঠপট্টি রোড়ের ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ ও সরু এবং বাজারের পশ্চিমে রাস্তার উপর একটি বৈদ্যতিক খুটি রয়েছে, এগুলোর কারনেও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি বাইপাস সড়কের কথা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকলেও কিছুই হচ্ছে না। পশ্চিমে চলাচলরত অটো রিক্সাগুলো উপজেলা মোড়ে থাকবে আর পূর্বদিকে চলাচলরতগুলো সন্তোস পাড়া এলাকা পর্যন্ত থাকবে। এমন সিদ্ধান্ত আগেও ছিলো কিছুদিন কার্যকর থাকলেও আবার যেই সেই।
অনেকে আরো বলেন, ৫ জন লাইনম্যান থাকা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়না। তারা প্রতিটি অটোরক্সিা থেকে ১০ টাকা করে উত্তোলনে ব্যাস্ত থাকে। প্রশাসনের গাড়ি ও ভিআইপিদের গাড়ি দেখলে বাশিঁ ফুঁক ও রাস্তা পরিস্কারে ব্যাস্ত হয়। এজন্য এখানে পুলিশের সহায়তা দরকার। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা ও বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত এখানে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পায়। এর আগে সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মালামাল উঠা নামায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিলো, কিন্তু এখন আর তা মানা হচ্ছে না। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বছরের পর বছর শুধু অলোচনা হয়, দীর্ঘদিনেও এর কোন সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কোন প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বাবুল, সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, আরিফ হোসেন হারিছ, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, হামিদুল ইসলাম লিংকন, বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম খান, বিনা ফার্মেসীর মালিক উত্তম কুমার ঘোষ, আসমা উল হোসনা ফার্মেসী’র মালিক রাজিব দাস, মোল্লাহ ফার্মেসীর মালিক আসলাম মোল্লাহ, কার্তিক ফার্মেসীর মালিক গোবিন্দ ঘোষ, দত্ত ফার্মেসীর মালিক অজিত দত্ত প্রমুখ।