পাবনার সুজানগরে মার্জিয়া খাতুন নামে বিক্রি করা এক শিশুকে উদ্ধার করতে গিয়ে দুষ্কৃতিকারীর ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশ পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার খয়রান গ্রামে ঐ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলো সুজানগর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম (৩৪) ও কনস্টেবল মামুনুর রশিদ (৩০)। এদের মধ্যে ওই মামুনুর রশিদকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং এএসআই শফিকুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ওই মার্জিয়াকে উদ্ধার করার পাশাপাশি দুষ্কৃতিকারীর মার্জিয়ার মামা শাহদত হোসেনকে (২৩) ছুরিসহ গ্রেফতার করেছে। শিশু মার্জিয়া পাবনা সদর উপজেলার আড়িয়া গোহাইল বাড়ি গ্রামের হাসান আলী মেয়ে এবং দুষ্কৃতিকারীর শাহদত একই উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন খানের ছেলে।
সুজানগর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী ঐ শিশুর পরিবারের বরাত দিয়ে জানায়, এক বছর আগে ওই হাসান আলীর স্ত্রী রতœা খাতুন তার ৩বছরের মেয়ে মার্জিয়াকে রেখে আত্মহত্যা করে। এর কিছুদিন পর মার্জিয়ার নানা জালাল উদ্দিন এবং মামা শাহদত হোসেনসহ তাদের আরো লোকজন এসে মার্জিয়াকে তার বাবা হাসান আলীর কাছ থেকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। মার্জিয়ার বাবা হাসান আলী জানায়, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মার্জিয়াকে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর গত ৪/৫মাস আগে তাকে ওই খয়রান গ্রামের সাইফুল মল্লিকের কাছে ১লাখ ৬০হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ খবর শোনার পর তিনি মেয়ে মার্জিয়াকে উদ্ধারে পাবনা আদালতের কাছে তল্লাশী পরোয়ানার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেন। ঐদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় ওই এএসআই শফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল মামুনুর রশিদ ঐ তল্লাশী পরোয়ানা বলে শিশু মার্জিয়াকে উদ্ধার করতে সাইফুল মল্লিকের বাড়িতে যান। এ সময় আগে থেকেই ঐ বাড়িতে অবস্থান করা দুষ্কৃতিকারীর মার্জিয়ার মামা শাহদত হোসেন তাদের ছুরিকাঘাত করে। এ ব্যাপারে সুজানগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।