সরাইলে ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হেদায়েত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগেও সদর থানার জঙ্গী হামলার ঘটনায় একটি মামলায় ১২ বছর হাজতবাস করতে হয়েছে হেদায়েতকে। পুলিশ জানায়, হেদায়েত উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। একসময় হেদায়েত ছিল মাদরাসার ছাত্র। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ আগস্ট সমগ্র দেশের ৬৪টি জেলায় একযুগে একই সময়ে গ্রেনেট হামলা হয়েছিল। অন্যান্য জেলার মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর মডেল থানার পুলিশ বাদী হয়ে জঙ্গী হামলা ও বিস্ফোরক আইনে তখন মামলা করেছিল। হেদায়েত সেই মামলার একজন আসামী। ওই মামলায় ১২ বছর হাজতবাসের পর বছর দিন আগে জামিনে বেরিয়ে আসে হেদায়েত। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে (জিআর-৪০৪/২০১৮) একই ধারায় আরেকটি মামলায় ৬ মাস আগে হেদায়তের ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। এরপর থেকে হেদায়েত ছিল পলাতক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরাইল থানার এস আই হোসনে মোবারক হেদায়েতকে গ্রেপ্তার করেন। আর শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। থানা থেকে আদালতে যাওয়ার সময় হেদায়েত বলেন, আগের জঙ্গী হামলার অভিযোগে জেল খেটেছি। কিন্তু এখন আবার কোন মামলায় ৭ বছরের জেল হয়েছে? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা জঙ্গী হামলা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় হেদায়তের ৭ বছরের সাজা হয়ে আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি।