নওগাঁর মান্দায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটে ছাত্রদলের দুই নেতা আহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার প্রসাদপুর বাজারের মিম অফসেট প্রেসের সামনের রাস্তায় মারপিটের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের ছয়নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করা হয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম দুলাল (৩৩) ও ছাত্রদল মান্দা মমিন শাহানা সরকারি কলেজ শাখার সদস্য সাজিদ হোসেন (১৮)। এর মধ্যে দুলালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আহত সাজিদ হোসেন ছাত্রদলনেতা আবদুল হালিম দুলালসহ কয়েকজন সহযোহীকে নিয়ে কেনাকাটার জন্য প্রসাদপুর বাজারের মিম প্রেসের সামনে যান। এ সময় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দেলের জের ধরে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল জলিল ও সদস্য টগর হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সালেক, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আকিব জাওয়াদ চৌধুরী, মান্দা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭জন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে।
এসময় অন্যরা পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিলেও দুলাল ও সাজিদকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন স্থানীয়রা। ঘটনায় আহত ছাত্রদলনেতা সাজিদ হোসেনের বাবা সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার রাতেই মান্দা থানায় মামলা করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি সামসুল আলম প্রামানিক বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিদের মাঝে অসন্তোষ চলে আসছিল। অভ্যন্তরীণ এসব বিষয় নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ছাত্রদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হলে এসব দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে। বিষয়গুলো দলীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।