র্দীঘ কয়েক বছর থেকে নিজের প্রয়োজনের তাগিদে গ্রামবাসীর নিজের টাকায় রাস্তা সংস্কার করে আসছেন মাঝগ্রাম ও নাশির মন্ডল হাট এলাকাবাসী। কৃষি শিল্প সম্প্রসারণ, কল-কারখানা, হাট-বাজার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারণে মাঝগ্রাম বড় জামে মসজিদ থেকে নাশির মন্ডল হাটের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতি বর্ষায় অতিরিক্ত কাদা হলে গ্রামবাসী নিজের অর্থায়নে ইটের কংক্রিট এনে রাস্তায় ফেলে সংস্কার করে আসছেন। এতে বর্ষায় কিছুটা নিরাপদে সাধারণ পথচারী ছাড়াও মটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাক্টর, পিকআপ চলাচল করতে পারে। ওই এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের বসবাস হলেও বাণিজ্যিক কারণে রাস্তাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অসমতল কংক্রিটের রাস্তায় চলার পথে কথা হয়, বোদা উপজেলার ৮ নং সদর ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার ভুক্তভোগী আকতারুজ্জামান কাজলের (৩১) সাথে। তিনি রাস্তার পাশে তাঁর বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি আমাদের গলারকাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষায় ভোগান্তি একরকম, আবার বর্ষা চলে গেলে সারা বছর পোহাতে হয় আরেক ভোগান্তি। এই রাস্তায় সাইকেল, মটরসাইকেল, অটোরিক্সা বা থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনা এড়াতে সাবধানে একেবারে আস্তে চলাচল করতে হয়। কিছুদূর পর একই সড়কে কথা হয় মো: তরিকুল ইসলামের (৫০) সাথে। রাস্তার কথা তুলতেই তিনি কিছুটা ক্ষোভের দৃষ্টিতেই বললেন, কেহ এই রাস্তায় চলাচল করতে সুবিধা পায় না। রাস্তার মোড় গুলোর অবস্থা এতই খারাপ যে একটি মাইক্রো ঠিক মত ঘুরাতে পারে না। একই কথা বললেন, হোসেন আলী (৫৩)। তিনি বলেন, মাঝগ্রাম বড় মসজিদ পাকা রাস্তা থেকে নাশির মন্ডল হাট ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলে সাধারণ মানুষের চলাচলে সুবিধার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও নতুন নতুন শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নাসির মন্ডল হাটের একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, রাস্তাটির প্রস্থ কাগজে-কলমে বেশি হলেও সরজমিনে রয়েছে ১০-১২ ফিট। এইটুকুও চলাচলের অনপযোগী।
এ ব্যাপারে ৮ নং বোদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মানিক বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে রাস্তার কোড নম্বর সহ সকল প্রকার কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়ও অবগত আছেন, আশা করা যায় রাস্তাটি পাকাকরণে শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।