ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ২নং আমগাঁও ইউনিয়নের নন্দগাঁও বনাগাছি নোনাখালে সরকারি ভূমি থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালু করে যাচ্ছিল আবদুর রহিম এমাজ মাষ্টার নামে দুই ব্যক্তি। বালু উত্তোলনের সময় দুই ব্যবসায়ীর উত্তোলনকৃত বালি জব্দ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের বালু উত্তোলন করার যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়নি।
সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমগাঁও ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মহেশ চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আসাদুজ্জামান খোকন বালু জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি বলেন উত্তোলনকৃত জব্দ করা বালুর পরিমাণ ১০ থেকে ১২ হাজার সিএফটি হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরানী হাটের সীমানা ঘেঁষে বয়ে গেছে এই নোনা খালটি। কয়েক দিন ধরে আবদুর রহিম এমাজ মাষ্টার নামে দুই বালু ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে গ্রাম ঘেষা এই নোনাখাল থেকে করার ফলে আশপাশের আবাদি জমিসহ বাড়ী ঘর হুমকির মধ্যে পড়ার আশংকার সৃষ্টি হয়। বহুবার বালু উত্তোলন না করার অনুরোধ করা হলেও বালু ব্যবসায়ীরা তাদের বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। এতে প্রশাসনের প্রতি স্থানীয়দের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি বাচাতে এলাকাবাসী বালু উত্তোলনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে জানান। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট আমগাঁও ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মহেশ চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করেন। তবে বালু উত্তোলনকারীদের বালু উত্তোলন করার যন্ত্রাংশ জব্দ ও তাদেরকে জরিমানা না করার ফলে এলাকাবাসী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন উপজেলা প্রশাসন অজ্ঞান কারণে বালু উত্তোলনকারীদের বালু উত্তোলন করার যন্ত্রাংশ জব্দ ও তাদেরকে জরিমানা না করার ফলে তারা আবারো বালু উত্তোলন করলে আমাদের আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তাদের উত্তোরনকৃত বালু জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বালু উত্তোরনকারীদের কঠোরভাবে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷পরবর্তিতে সরকারি জায়গায় বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।