শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বনদ্বের জেরে মারধরে আহত শাহাদুল ইসলাম (৩২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নে সাতানিপাড়া গ্রামের সঙ্গে পাশের রাঙ্গামাটি গ্রামের কিশোরদের ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় একটি গোল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে দুই গ্রামের লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ ঘটনার জেরে গত ২৩ মে সাতানিপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে নয়ন রাঙ্গামাটি পক্ষ নিয়ে কয়েকজন মিলে প্রতিপক্ষের শাহাদুলকে মারাধর করে হাত পা ভেঙে ও মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ সময় স্থানায়ী ব্যক্তিরা শাহাদুলকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর শরীরিক অবস্থার উন্নতি হলে শাহাদুলকে বাড়িতে আনা হয়। ২৯ মে শাহাদুলের অবস্থার অবনতি হলে শেরপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জুন শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত শাহাদুলের চাচা চান মিয়া বলেন, ‘আমার ভাতিজাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। শাহাদুলের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তাঁরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।’
কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘খেলাকে কেন্দ্র যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল, আমি তা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কেউ তা না মেনে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন।’
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত ব্যক্তির চাচা বাদী হয়ে যে মারধরের মামলা করেছিলেন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।