লোহা, ইস্পাত এবং কয়লাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পাবনার সুজানগরে কামার পরিবারের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে অনেক কামার পরিবার পৈতৃক পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার কাকিয়ান গ্রামের শম্ভু নাথ কর্মকার জানায়, একসময় উপজেলায় অন্তত ৫‘শ কামার পরিবার ছিল। সে সময় কামারশিল্পীদের তৈরী দা, ছুরি, বটি, কোদাল, কাস্তে, নিড়ানী এবং কুড়ালসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যাপক চাহিদা ছিল। দামও ছিল বেশ ভাল। ফলে ঐ সময় প্রতিটি কামার পরিবার তাদের তৈরী লৌহ সরঞ্জাম বিক্রি করে সচ্ছলভাবে পরিবারপরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন। কিন্তু বর্তমানে কামারশিল্পীদের তৈরী ঐ সকল সরঞ্জামের চাহিদা কমে গেছে। তাছাড়া বর্তমানে লোহা, ইস্পাত এবং কয়লাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা ঐ সকল সরঞ্জাম চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে পারছেন না। ফলে দিনের পর দিন কামারশিল্প বিলুপ্ত হতে চলেছে। বর্তমানে গোটা উপজেলায় ২‘শ পরিবারও কামার শিল্পের সাথে জড়িত নেই বলে উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের আবদুল হামিদ কামার জানান। তিনি আরও জানান, এখনও কামারশিল্পীদের তৈরী বটি, কাস্তে, কোদাল ও নিড়ানীর বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন স্বল্প সুদে সরকারি ঋণ সহায়তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন যাতে উপজেলার কামার পরিবার ঋণ সহায়তা পান সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।