ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি দেওয়ার নামে স্থানীয় গরীব ও ভূমিহীন ১০ জন ব্যক্তির কাছে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে স্থানীয়ারা উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের (রামপুর) গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন। পরে থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে হরিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
হরিপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আওরঙ্গজেব মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং তিনি বলেন ভূক্তভুগিদের মধ্যে সাইদুর নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিত্বে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের (রামপুর) গ্রাম থেকে আবুল কালাম আজাদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা রজু করে বুধবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর উপজেলার রহমতপুর (দহগাঁও) গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি দেওয়ার নামে উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের (রামপুর) গ্রামের শফিউর রহমান, সাইদুর রহমান, আবদুল হাকিম, মতিবর রহমান, রবিউল ইসলামসহ ১০ জনের কাছ থেকে ১ লক্ষ্য ৭৪ হাজার টাকা উৎকোচ আদায় করেন। টাকা নেওয়ার পর আবুল কালাম আজাদ স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়রা ঘরের কথা বললে আজাদ সময়ের কালক্ষেপন করতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ জনক হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবুল কালাম আজাদকে আরো টাকা দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে ভাতুরিয়া ইউনিয়নের (রামপুর) গ্রামে আসতে বলেন। টাকার লোভে ঘটনাস্থলে আবুল কালাম আজাদ গেলে স্থানীয়রা তাদের ঘর বাবদ টাকা ফেরত চাইলে সে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধুমকি প্রদান করেন। এ সময় স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে আজাদকে আটক করে হরিপৃুর থানার পুলিশকে অবহিত করেন। দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গিয়ে আবু কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শ্যালক তানভীর হাসানের কথামতে আমি এই গ্রামের প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি দেওয়ার নামে আমি দশজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ্য ৭৪ হাজার টাকা নিই এবং সমস্ত টাকাই তানভীর হাসানের নিকট দিই।
টাকা নেওয়ার বিষয়ে তানভীর হাসানকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আপনি আনোয়ার ভাইয়ের সাথে কথা বলেন তার সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমি কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নিই নাই। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘরবাড়ি তদারকি করি।
শ্যালক তানভীর হাসান সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন আমার শ্যালক তানভীর হাসান কারো নিকট কোন প্রকার টাকা নেওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত না। আমার সম্মানহানী করতে এসব মিথ্যা প্ররোচনা করা হচ্ছে।