নীলফামারীর সৈয়দপুরে জাতীয় পার্টিতে শুরু হয়েছে পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেয়ার হিড়িক। তবে ওই সকল নেতাকর্মী পদ থেকে অব্যাহতি দিলেও তারা কিন্তু সাধারণ সদস্য পদ বা দল থেকে কোন পদত্যাগ করেননি। তারপরও পদ থেকে তাদের অব্যাহতির হিড়িক দেখে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয় পার্টি নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দলের নেতা ও কর্মীদের এ ধরনের কার্যক্রমে নানান কথা শুনতে হচ্ছে মাননীয় এমপি মহোদয়কে। এ ধরনের নেতাকর্মীদের ভুলের কারণে জাতীয় পার্টিতে দেখা দিয়েছে বিভেদ। তাছাড়া অন্য দলের লোকজন জাতীয় পার্টিকে বিভক্ত করার চেষ্ঠা করছে। যে সকল নেতা কর্মী পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন আজ তারাই জাতীয় পার্টির নানা ধরনের বদনাম করছেন। সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে একটা বিভেদ তৈরী করেছেন। যা জাতীয় পার্টির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দলের কিছু সংখ্যক অসাংগঠনিক নেতা কর্মী গত দুই বছরে সাংসদের কাছ থেকে নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন। অথচ আজ তারাই সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটে বেড়াচ্ছেন। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ সকল কথা বলেন সৈয়দপুর পৌর জাতীয় পাটির আহ্বায়ক আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন।
অপরপাশে জাতীয় পার্টির সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব জি এম কবির মিঠু বলেন, দলের সাধারণ নেতা কর্মীদের সাথে গত দুই বছরে যাদের কোন ধরনের যোগাযোগ ছিলো না, গত পৌর নির্বাচনে সাধারণ নেতা কর্মীদের সাথে রাখেননি আজ তারাই আবার সাধু সেজে দলের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্ঠি করছে। দলের হাইকমান্ডের পরামর্শ ছাড়া এককভাবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে। যা ছিল দলীয় সাংগঠনিক নিয়ম বর্হিভুত। আমি মনে করি এতে অন্য কোন দলের ইন্ধন নেই তো। তিনি জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহবান জানান।