রাজবাড়ীতে অপহরণের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও মারধর করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই যুবকের নাম রুহুল আমীন (২৭)। তিনি ফরিদপুরের গোয়ালচামট এলাকার বাসিন্দা। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক রুহুলের বাবার নাম নাজিম উদ্দিন।
এবিষয়ে ফাতেমা আক্তার সাথী (২২) বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেছে। সাথীর বাড়ি কুমিল্লার তুলাতুলি গ্রামে।
থানা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, রুহুলের সঙ্গে ওই মেয়ের বন্ধুত্ব ছিল। মেয়েটিকে বিয়ের আসর থেকে তুলে আনা হয়। এরপর ২৩ এপ্রিল থেকে তাঁরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকায় রাবেয়া টাউয়ারে ভাড়া ফ্লাটে বসবাস করতেন। ভাড়া নেওয়ার সময় তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করার একপর্যায়ে রুহুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন সাথী। এ ঘটনায় তাকে নির্যাতন করা হয়। বুধবার রাতে সাথীকে মারধর করা হয়। বাড়ির নিচ থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে একজন পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ মারধরের শিকার আহত সাথীকে উদ্ধার করে। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আবারও ফ্লাটে চলে আসে সাথী। আবারও তাদেও মধ্যে মারধর-ঝগড়াঝাটি হতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজেরা স্বামী-স্ত্রীর মিথ্যা পরিচয়ের কথা স্বীকার করে।
রুহুলের দুলাভাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তাঁরা পালিয়ে রাজবাড়ীতে অবস্থান করছিল। মেয়েটি ভালবেসে ছেলের সঙ্গে চলে এসেছে। তাকে অপহরণ করা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আবু জাহেদ শেখ বলেন, রুহুলকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি পরীক্ষা করাবেন না মর্মে স্বাক্ষর করে চলে এসেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, নিজেদের সম্মতিতেই তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতো। নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর রুহুলকে রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে।