সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের মধ্যে কাঁচারাস্তা পাকা করণ করলেও অনেক পাড়া-গ্রামের রাস্তা এখনো কাচায় আছে। আর এসব কাঁচারাস্তায় বর্ষা মৌসমে অতিরিক্ত কাদার সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসী, গরু-ছাগল ও ভ্যান-সাইকেল চলাচল করে কাদার পরিমান আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়। আর বর্ষাকালে এসব কাদার মধ্যদিয়ে চলাচল করতে পাড়া-গ্রামের জনসাধারনদের কষ্ট করতে হচ্ছে।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে অবস্থিত কাশিয়া চাপড় গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা। গ্রামটির অর্ধেক রাস্তায় ইট বিছানো থাকলেও বাঁকি প্রায় ৩’শ মিটার রাস্তা কাঁচা। মাঠের ফসল ও গরু-ছাগল বাড়িতে নেওয়ার সময় সবাইকে এ কাদার কষ্ট সহ্য করতেই হয়। ওই গ্রামের আখের রস বিক্রেতা বেলাল বলেন, প্রতিদিন ২ বার আখের বোঝা ঘাড়ে করে এই কাদার রাস্তাটুকু পার হই সাবধানে। হাটে-বাজারে রস বিক্রয় করে অবশিষ্ট আখগুলো রাতের অন্ধকারে আবার এই কাদার মধ্যদিয়েই বাড়িতে নিতে হয় বলেও জানান তিঁনি। শিশু কোলে কাদার রাস্তা দিয়ে যাওয়া ওই পাড়ার গৃহবধু বলেন, আমার বাড়িতে যাওয়ার অন্য কোন রাস্তা নেই এজন্য বা”ঁচাকে নিয়ে সাবধানে যাচ্ছি। গ্রামের বয়স্ক আশরাফ আলী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই আমরা বর্ষাকালে গ্রামবাসি এই কাদার জন্য কষ্ট করে আসছি। তিনি আরো বলেন, ভোটের আগে চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা বলে জয়ী হলে রাস্তাটি পাকা করে দিব। কিছুদিন আগে অর্ধেক পাকা হলেও বাঁকি অর্ধেক আজও কাঁচায় আছে।
স্থানীয় পরিষদের ইউপি সদস্য বাবু প্রধান বলেন, ওই পাড়ার সবটুকু রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছে। তবে মাঠে যাওয়ার জন্য বর্ষায় যতটুকু রাস্তায় কাদা হয় তা সরকারি রাস্তা নয়, ওটি মালিকানা।