নীলফামারীর ৬ উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ১০ জুন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাৎসরিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে একমত পোষন করেন।
এতে বলা হয়, এ চুক্তি স্বাক্ষরকারী উভয়পক্ষ নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে বিধি সম্মত হয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাৎসরিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র মতে জেলার ৬ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাস্তবায়ন করতে চান- সেবা প্রত্যাশীদের জন্য সুপেয় পানি ও শৌচাগার নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শতভাগ মিউটেশন কেস খতিয়ান হালনাগাদকরণ, সরকারি সম্পত্তির হালনাগাদ ডাটাবেজ তৈরি, গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করা, ভূমিহীন পরিবারকে পুনবার্সন, শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন, উপজেলা প্রশাসনকে জনবান্ধব-সেবামুখী হিসেবে গড়ে তোলা ও ৬ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ, মাদকমুক্ত ও ভিক্ষুকমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা।
এতে জেলা প্রশাসক কর্তৃক অনুমোদন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা বলেন, আমরাও চুক্তি সম্মাদন করেছি। এসব কর্মকা- ১ বছর পর মুল্যায়নের ভিত্তিতে আমাদের পারফরম্যান্স রিপোর্ট তৈরি হবে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বাৎসরিক পারফরম্যান্স নির্ণয়ের জন্য এ কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো। আগামী ১ বছরে তারা কী কী কাজ করতে চান এবং বাস্তবায়ন করবেন তা উল্লেখ করে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এতে আমিও স্বাক্ষর করেছি। ১ বছর পর তাদের সম্পাদিত চুক্তিমতে কর্মকান্ডের মুল্যায়ন করা হবে। সেটাই হবে তাদের ব্যক্তিগত সাফল্যের মাপকাঠি। এটি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মীর্জা মুরাদ হাসান বেগ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম, জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় জেলার সংবাদকর্মীদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা অবহিত করা হয়।