মণিরামপুরে পুলিশের লাথির আঘাতে মোজাহিদুল নামের চার বছরের এক শিশুর কপাল ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে আহত করার ঘটনায় রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক লিটনসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আবদুল খালেক বাদি হয়ে ২৭মে যশোর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি করেন। যাহার পিটিশন নং- ৩৭/২১। বিজ্ঞ আদালত বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে যশোর পিবিআইকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
আদালতে দায়ের করা মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, রসুলপুর গ্রামের ইব্রাহিম সরদার, খলিলুর রহমান মোড়ল, আবদুল জলিল মোড়ল, নুরুল ইসলাম সরদার, শামসুর সরদার, আতিয়ার সরদার ও শহিদ সরদার। বাদির দাবী, রসুলপুর মৌজার আর এস ২১২ বাস্ত ৪০৮ শতকের একখন্ড জমি দখল করতে গত ৮ মার্চ আসামিরা সংঘবদ্ধ ভাবে দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ জমি বাদির বাস্তভিটা সংলগ্ন বলে দাবী করা হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চাইতে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ একপর্যায়ে দখলকারীদের পক্ষ নিয়ে গত ১০ এপ্রিল বাদির বাড়িতে শালিস্যি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদির বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি হয়। এ সময় রাজগঞ্জ ফাঁিড়র উপপরিদর্শক এসআই লিটন ওই বৈঠকে বাদি আবদুল খালেককে তার প্রতিপক্ষদের নামে জমির দলিল সম্পাদন করে দিতে মানসিক চাপ প্রয়োগ করেন। এতে রাজী না হওয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে বিবাদীগণ আবদুল খালেককে মারপিট করে।
এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল খালেকের চার বছরের শিশু সন্তান মোজাহিদুল ওরফে বাপ্পী পুলিশের পা জড়িয়ে ধরলে পুলিশ তাকে ধাক্কা দিয়ে কপালে লাথি মারে। এতে সে কপাল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে কেশবপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে বাদি তার আরজীতে উল্লেখ করেছেন।
আরজীতে আরও উল্লেখ রয়েছে বাদি জমি রেজিষ্ট্রি না করে দেওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছেন। যে ঘটনাগুলোতেও আসামি পক্ষকে ইন্দ্রোন দিচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের জন্য আবদুল খালেক উপপরিদর্শক এসআই লিটনসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি করেছেন।