নীলফামারীতে বিএডিসি”র একটি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের প্রায় ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অগ্নিকান্ডের ঘটনায় খামার কতৃপক্ষ এ দীর্ঘ সময় ধরে লুকোচুরি করছে। গঠিত হয়নি কোন তদন্ত কমিটি, জানা যায়নি অগ্নিকান্ডের কারণ এবং অগ্নিকান্ডের খবর জানেনা উর্ধ¦ত্বন কতৃপক্ষ। এমনিভাবে খামার কতৃপক্ষ চেষ্টা করছে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার। এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার বিএডিসি ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে।
জানা যায়, গত ০১লা জুন ভোর রাতে খামারের কাঠ, বাঁশ রাখার একটি শেডে হঠাৎ করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ এর মাধ্যেমে এ খবরটি পায় ডোমার ফায়ার সার্ভিস। তারা দ্রুত দুটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলেও তা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ায় দেবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট সহ দীর্ঘ ৪ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। পরে নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের উর্ধ¦ত্বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য মতে, অগ্নিকান্ডের কারণ জানা যায়নি এবং এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকা-ে প্রায় অর্ধ লক্ষ শুকনা বাশ, কাঠ ও টিনশেড একটি ঘড় সম্পুর্ন পুড়ে গেছে, এতে ২০ লক্ষ টাকার বেশী ক্ষতি হয়েছে।
সুত্র মতে, খামারে অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে খামার কতৃপক্ষ তাদের উর্ধ¦ত্বন কতৃপক্ষকে অবহিত করেননি, তারা নিজেরাই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধান, উর্ধ¦ত্বন কতৃপক্ষকে অবহিত না করায় এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে খামার কতৃপক্ষের দায়িত্বশীলতাকে ঘিরে।
ডোমার ফায়ার সার্ভিস এর ষ্টেশন লিডার জয়নুল আবেদীন জানান, অগ্নিকান্ডের কারণ এখনো অজানা। খামার কতৃপক্ষ কোন তদন্ত কমিটি গঠন কিংবা অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য ফায়ার সার্ভিস বরাবর কোন আবেদন করেনি।
এ ব্যাপারে ডোমার ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে জানান, এটা আমরা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করছি, সংবাদ প্রকাশ করে কি হবে।
স্থানীয়দের দাবী, খামারের বর্তমান কর্মরত উপ-পরিচালক খামারে যোগদানর পর থেকে খামারটি নানা অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এ অগ্নিকা- হয়তো তারই একটি অংশ।