মণিরামপুরে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানি সরবরাহের পাইপ লাইন সংযোগ ও মাটি কাটা কাজে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পাইপ স্থাপনে বালুর পরিবর্তে মাটি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ। কাজের অনিয়মই ভবিষ্যতে সুপেয় পানি সরবরাহের প্রধান অন্তরায় হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কাজে অনিয়ম হওয়ায় পৌরসভার এক কাউন্সিলর কাজ বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) ও আইডিবি (ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক) যৌথ অর্থায়নে ১০ কোটি ৮১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৫ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ডের প্রতি বাড়িতে জীবানুমুক্ত সুপেয় পানি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে মাটি খনন ও পাইপ লাইন সংযোগের কাজ চলছে। মেসার্স শামীম এ- সুমন জেভি নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত ২মে এ কাজের কার্যাদেশ পেয়ে এ কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি করেওয়ার্ডে মাটি খননের পর পাইপ লাইন সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে।
সিডিউল অনুযায়ী ৮ ইঞ্চি পাইপ সংযোগে ১ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রস্থের মাটি খননের কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এ ছাড়া পাইপ সংযোগকালে পাইপের নিচে এবং উপরে ৬ ইঞ্চি বালু দেয়ার কথা থাকলেও সামন্য এ নিয়ম মানা হয়নি। পাইপের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পৌর সভার ১নং হাকোবা ওয়ার্ডে বালু ছাড়াই পাইপ সংযোগের কাজ করায় সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজিম কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আজিম বলেন, এভাবে কাজ হলে সুপেয় পানির সুবিধা কয়েক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রনি বলেন, কাজে কোন ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে না। ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান বলেন, তার ওয়ার্ডের সিংহভাগ কাজউ বালু ছাড়াই করা হয়েছে।
পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এ নিয়ে তার কাছে অভিযোগ আসায় তিনি মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন। ব্যবস্থা না নিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধদিপ্তরের প্রকৌশলী জয়দবে দত্ত বলেন, প্রাথমিকভাবে কয়েক জায়গায় ত্রুটিপূর্ণ কাজ করায় পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য অধদিপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ পারভেজ বলেন, কাজে কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। বালু না দিলে পাইপ উঠিয়ে বালু দেয়ার পুনরায় কাজ দেয়া হবে।