করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ের ছোবলে আশাশুনির সকল ইউনিয়ন এখন রোগিতে ভরতে শুরু করেছে। ২য় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত ১০০ জন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও লকডাউন ঘোষণা করে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বিধিনিষেধ কড়াকড়ির তৎপরতা না থাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আশাশুনিতে নতুন করে গত ১৩ জুন ১১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, রোববার (১৩ জুন) উপজেলার ১১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান (৭৩) কুল্যা, অগষ্টিক মন্ডল (২৮) বড়দল, রেজাউল (৫২) বুধহাটা, ববিতা (২৮) শ্বেতপুর, তৈয়বুর (৪৪) বাটরা, শাহনারা (৫০) শ্বেতপুর, পরিতোষ (৪৮) কাটাখালী (শোভনালী), এস কে মামুন (৬৯) আশাশুনি, শাহারুজ্জামান (৮০) আশাশুনি, সনজিদা (২৩) মহিষাডাঙ্গা ও শম্পা (২৫) মহিষাডাঙ্গা। এনিয়ে আশাশুনি উপজেলায় ১৪১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৪১ জন গত বছরের এবং ১০০ জন চলতি ২য় ঢেউয়ে সংক্রমিত হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলায় ১৩০ জন সংক্রমিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়েছে শোভনালী ইউনিয়নে এবং পরবর্তীতে আছে বুধহাটা ইউনিয়ন। শোভনালী ইউনিয়নে ৩৩ জন, বুধহাটা ইউনিয়নে ২৫ জন, কুল্যা ইউনিয়নে ৮ জন, দরগাহপুর ইউনিয়নে ২ জন, বড়দল ইউনিয়নে ৪ জন, আশাশুনি সদরে ১৫ জন, শ্রীউলা ইউনিয়নে ৪ জন, খাজরা ইউনিয়নে ২ জন, আনুলিয়া ইউনিয়নে ১ জন, প্রতাপনগর ইউনিয়নে ২ জন ও কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪ জন।
উপজেলার বাশারত হোসেন (৫৫), আঃ আলিম (৬০), সহকারী শিক্ষক আবদুল মজিদ করোনা পজিটিভ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। এ ছাড়া উজ্জ্বল চৌকিদারের মা পার্বতী রানী রাহা (৬০), বাক্কার (৪৫), আনোয়ার খাতুন করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেন।