লালমনিরহাট রেল প্রকৌশল বিভাগে টিএলআর পদে ৮৪ জন নিয়োগে প্রায় ৩ কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট রেল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী (এইএন) সাইদুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে যানা যায়, লালমনিরহাট রেল প্রকৌশল বিভাগে টিএলআর পদে ৮৪ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সেই নিয়োগ
আগের যারা এই দফটির টিএলআর (মাষ্টার রোল) কর্মরত ছিল তাদেরই পাওয়ার কথা থাকলেও তা না করে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৫টি উপজেলায় দালালের মাধ্যমে তিন কোটি টাকার বিনিময়ে নতুন করে ৮৪ জনের নামের তালিকা তৈরি করে টিএলআর পদে নিয়োগ ৩৬জনকে নিয়োগ দিয়েছেন লালমনিরহাট রেল বিভাগের উপ প্রকৌশলী সাইদুর রহমান চৌধুরী। আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে আগের মাষ্টার রোল লিষ্টে পুরাতণদের নামের পাশে লিখে দিয়েছেন কাগজ উই পুকায় কেটেছে
তিন কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর পরই লালমনিরহাট রেল দপ্তরটিকে নিয়ে টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে। লালমনিরহাটে নিয়োগ বানিজ্যে এর আগে এত টাকার কোন ঘটনা প্রকাশ পায়নি তাই সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাষ্টার রোলে টিএলআর পদে কর্মরত একাধিক কর্মী জানান, এইএন সাইদুর রহমান চৌধুরী আমাদের পেটে লাথি মেরে নতুনদের নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। আমাদের অধিকার আমরা ফিরে চাই। আমরা রেল প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।
বাংলাদেশ রেল পোষ্য সোসাইটির লালমনিরহাট জেলা মুখপাত্র মনিরুজ্জামান জানান, নিয়োগ বাণিজ্যের এই বিষয়টি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা দির্ঘদিন ধরে এই টিএলআর পদে মাষ্টার রোলে চাকুরী করে আসছেন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মামলর প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে (এইএন) উপ সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর চৌধুরীকে টিএলআর পদে টাকা নিয়ে পুরাতণদের বঞ্চিত করে নতুনদের নিয়োগের কারণ জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে ম্যানেজের চেষ্টা করেন এবং নিউজ করতে নিষেধ করেন।
লালমনিরহাট রেল ডিভিশনের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এই ঘটনার বিষয়ে তার অফিসে একাধিক বার গিয়েও তার সাথে দেখা করা যায়নি এমনকি তার সরকারি মোবাইল নাম্বারে অনেক বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি। তাই তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।