মণিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বসতবাড়িতে প্রবেশ-বাইরে যাওয়ার সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বসতবাড়িতে প্রায় ৩ মাস বন্দি জীবন-যাপন করছেন দুটি পরিবার। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন বন্দিদশা থেকে মুক্ত হতে। এ ঘটনাটি মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাংগা গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, এ গ্রামের মৃত. সামাদ বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বাস্তভিটা ২৮ শতক জমিই তাদের একমাত্র সম্বল। দরিদ্র এ পরিবারটি বসবাস করছেন একই স্থানে। কিন্তু তাদের জমির ভাগ বন্টন নিয়ে বিপত্তি ঘটেছে ভাই-বোনের মধ্যে। জানাযায় সামাদ বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার ও বজলু বিশ্বাস ১০ শতক জমির উপরেই পৃথক বাড়িতেই তারা বসবাস করছেন। অপর ভাই হারুন বিশ্বাস বোন তহমিনা ও নাছিমা বেগম রয়েছে একই অবস্থানে।
অভিযোগ রয়েছে, তাদের মা মৃত. অছিরন বেগমের অংশ দলিলের মাধ্যমে দু’মেয়ে তহমিনা ও নাছিমা বেগম লিখে নেয়। যে অংশটুকুই ভাই বখতিয়ার, বজলু ও হারুন বিশ্বাসের বাড়িতে যাতায়তের একমাত্র পথ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। সম্প্রতি ভাই-বোনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে বোন তহমিনা, নাছিমা ও একভাই হারুন হঠাৎ করেই বখতিয়ার-বজলুর বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনা থেকে উত্তোরণের জন্য প্রথমে বজলুর রহমানের স্ত্রী অহেদা বেগম গত ১২ ফেব্রুয়ারী মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। জানাগেছে, পুলিশ তাদের এ বিষয়টি মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ গত ১০ জুন বিষয়টি সমাধান চেয়ে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। অবশ্যই ওই আবেদনে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সুধীজনেরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে সমাধান চেয়ে জোর সুপারিশ করেছেন।