রংপুরে দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষার স্বার্থে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তর সিগারেটের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করাসহ তামাকের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও উৎপাদিত তামাক বিক্রির নিশ্চয়তার দাবি জানেয়েছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের তামাক চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর অতিরিক্ত ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, আরোপিত অগ্রিম ১০ ভাগ আয়কর কমানো এবং বহুজাতিক কোম্পানীর আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার দাবি করেছেন সংগঠনটি।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় একটি অভিাজত রেস্টুরেন্টে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি তুলে ধরেন সমিতির সভাপতি হামিদুল হক।তিনি লিখিত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, বৃহত্তর রংপুরের বেশিরভাগ মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এই অঞ্চলে তামাক ছাড়া অন্য কোন ফসলের ফলন ভালো না হওয়ায় আমরা তামাক চাষ করে জিবীকা নির্বাহ করছি। উৎপাদিত তামাক কেবল বিড়ি শিল্পের কাচামাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আমরা তামাক চাষি ও ব্যাবসায়ীরা এই বিড়ি শিল্পের সাথে জড়িত। বিড়ি শিল্পের উপরে শুল্ক বৃদ্ধি হলে তামাক চাষি ও ব্যাবসায়ীদের ওপরে এর বিরুপ প্রভাব পড়ে।২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপরে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়রম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে হামিদুল হক আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তর সিগারেটের উপর কোন প্রকার শুল্ক ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়নি। অথচ বর্তমান বাজারে নিম্নস্তর সিগারেটে প্রায় ৭২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে, যা বহু জাতিক কোম্পানীর দখলে। সিগারেটের এই নিমস্তরটিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। সেই সাথে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার তামাক চাষী ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং জীবন জীবিকার মানউন্নয়ন সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরোও বক্তব্য দেন তামাক চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর হোসেন, সংগঠক মাসুম ফকির, মিজানুর রহমান মিজান, মজিবর রহমান, ফারুক হোসেন। এ সময় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।