পাবনার সুজানগরের ঐতিহাসিক গাজনার বিলে চলতি বর্ষা মৌসুমেও তেমন পানি নাই। প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমি নিয়ে গড়ে উঠা বিশাল ঐ বিলের নিম্নাঞ্চলের খালে নামেমাত্র বর্ষার নতুন পানি আসলেও বেশিরভাগ এলাকায় তেমন পানি নেই। এতে উপজেলার মৎস্যজীবীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যে সকল মৎস্যজীবীরা কেবল ঐ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তারা বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার বোনকোলা গ্রামের মৎস্যজীবী শামসুর রহমান জানায়, গাজনার বিলের পানির উৎস বৃষ্টি এবং পদ্মা ও যমুনা নদী। তবে প্রধান উৎস পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি। বর্ষা মৌসুমে বিলে পদ্মা ও যমুনার পানি এবং পানির সাথে মাছ আসলে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। কিন্তু চলতি আষাঢ় মাসেও বিলে পদ্মা-যমুনার পানি তেমন একটা প্রবেশ করে নাই। বিল পাড়ের শারীরভিটা গ্রামের হেদায়েত আলী শেখ বলেন বৃহত্তর ঐ বিলের নিম্নাঞ্চলের খাল ছাড়া কোথাও বর্ষার নতুন পানি আসে নাই। আর চলতি বর্ষা মৌসুমে বিলে পর্যাপ্ত নতুন পানি না আসায় একদিকে বিলে আবাদ করা পানি নির্ভর আমন ধানের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পানির অভাবে বিলে মাছ সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার বদনপুর গ্রামের মৎস্যজীবী শ্যামল হালদার জানান, বর্ষা মৌসুমে বিলে পর্যাপ্ত পানি না আসলে ফাল্গুন-চৈত্র মাস আসার আগেই বিল পানি শূন্য হয়ে যায়। এতে ঐ সময় এলাকায় প্রচ- মাছের আকাল দেখা দেয়। তাছাড়া বর্ষ মৌসুমে বিলে পর্যাপ্ত পানি না আসলে বিলপাড়ের কৃষকরা পাট পচানো নিয়েও বিপাকে পড়েন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন কেবল বর্ষা মৌসুম শুরু। আর কিছুদিন গেলেই বিল পানিতে থইথই করবে। এ সময় বিলে পর্যাপ্ত মাছও পাওয়া যাবে।