পাবনার সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দিনের পর দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ঐ সব শিশু শ্রমিকরা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় শ্রমিক নেতা জালাল উদ্দিন খান জানায়, ইতঃপূর্বে সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে তিন হাজার শিশু শ্রমিক ছিল। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় পাঁচ হাজারে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালীন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কতিপয় শিশু সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে শ্র্র্রমিকের কাজ করায় ঐ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঐ সকল শিশু শ্রমিকদের বেশিরভাগ হোটেল-রেঁস্তোরা এবং ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন দোকানপাটে কাজ করে। কিছুকিছু শিশু শ্রমিক আবার বাসা-বাড়ি এবং কৃষি কাজও করে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের চেয়ে শিশু শ্রমিকের মজুরী কম হওয়ায় এদের চাহিদা বেশি। তাছাড়া শিশু শ্রমিকরা কাজে ফাঁকি কম দেওয়ার কারণেও ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের চাহিদা বেশি। তবে শিশু শ্রমিকদের অভিযোগ মালিকরা তাদের মজুরী কম দেন। স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মরত শিশু শ্রমিক শামীম জানায়, মালিক পক্ষ সারা মাস তাদের ইচ্ছামতো কাজ করান। কিন্তু মাস শেষে মজুরী দেন মাত্র ৩/৪ হাজার টাকা। অথচ বয়স্ক শ্রমিকরা একই সমান কাজ করে প্রতিমাসে মজুরী পান ৭/৮হাজার টাকা। তারা মজুরী বৈষম্য দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো দ-নীয় অপরাধ। কাজেই এ বিষয়ে মালিকপক্ষ সচেতন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।