বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জায়গা দখল করে দোকানপাট ও একাধিক বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। তারা জমির দখল না ছেড়ে উল্টো দখলীয় জমি বাদ রেখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছেন। অপরদিকে, এলাকাবাসী সরকারী জমি দখল মুক্ত করে প্রাচীর নির্মাণের দাবী তুলেছেন। হাসপাতালের সম্পত্তির দখল নিয়ে এমন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, দুই পক্ষের চাপে বর্তমানে ঠিকাদার বাধ্য হয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাবে জোয়াড়ী বাজারের পাশে ৮৮ শতাংশ জমিতে স্থাপিত এ হাসপাতালের উত্তরাংশের প্রায় ১০ শতাংশ জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব জায়গা দখল করে সাতটি দোকান নির্মাণ করে কেউ নিজেই চালাচ্ছেন আবার কেউ কেউা ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া হীরাপদ দাস, নন্দলাল দাস ও অমিত কুমার দাস নামে তিন ব্যক্তি তাদের বসতবাড়ি নির্মাণের সময় হাসপাতালের উত্তর পশ্চিমাংশের কিছু জমি দখল করেছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিয়াম সাদ কনস্ট্রাকশন হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। হাসপাতালের উত্তর পাশের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে প্রভাবশালী দখলদাররা ঠিকাদারকে তাদের দোকানপাট ও ঘরবাড়ির জায়গা বাদ রেখে প্রাচীর তুলতে বলেন। কিন্তু গ্রামের সাধারণ লোকজন সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করে নির্ধারিত সীমানা দিয়েই প্রাচীর নির্মাণের দাবী তুলেছেন। এ অবস্থায় ঠিকাদারও প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। ফলে হাসপাতালের অন্যান্য অংশের প্রাচীর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেলেও উত্তরাংশের প্রাচীর নির্মাণ করতে পারছেন না। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে জোয়াড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম দিনু বলেন, আমাদের দাবী, দ্রুত অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে হাসপাতালের সবটুকু জায়গা নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হোক। এর অন্যথা হলে আমরা গ্রামবাসী তা মানবো না।
ঠিকাদার আনিসুল রেজা সেতু বলেন, অন্যান্য অংশের প্রাচীর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে, কিন্তু দখল করা জায়গা মুক্ত না হওয়ায় উত্তর পাশের প্রাচীর নির্মাণ করতে পারছি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সহযোগিতা পেলে জমি দখলমুক্ত করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।