রংপুরের পীরগাছায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কল্যাণী ইউপিতে শেষ মুহুর্তে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা। প্রার্থীরা দিন-রাত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। রংপুর জেলার মধ্যে এ ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ২১ জুন। ভোটে দুজন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে জানান সাধারন ভোটাররা। একজন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নুর আলম ও অন্যজন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কাওছার আলম। এদিকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলমের উপর তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের ক্ষোভ থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কাওছার আলম। ভোট সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করছেন এ ইউনিয়নের ভোটাররা।
জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করার পর ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহনের দিন ঠিক হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরে আগামী ২১ জনু ভোট গ্রহনের দিন ঘোষনা হলে নড়েচড়ে বসে প্রার্থীরা। ব্যানার, বিলবোর্ড ও পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গোটা ইউনিয়ন। উঠান বৈঠক ও প্রচার-প্রচারনায় মুখর হয়ে পড়েছে মাঠ-ঘাট, হাট বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব স্থানেই।
এদিকে বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হওয়ার পর নুর আলম দলীয় নেতাকর্মীদের অমূল্যায়ন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় না করে একক সিদ্ধান্ত নেয়া, নেতাকর্মীদের নামে বিষাদগার করা সহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃর্ণমূলের নেতাকর্মীরা। গত বুধবার উপজেলার দেউতি স্কুল এ- কলেজ হলরুমে কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বর্ধিত সভায় স্থানীয় সাংসদ, বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির উপস্থিতিতে ক্ষোভ দেখান তারা। সভায় উপজেলা কমিটির সদস্য আলতাব হোসেন ভল্টু, ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি বিশ^নার্থ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু মিয়াসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলমের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সহ জেলা ও উপজেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলেন এবং সব কিছু ভুলে নৌকার হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, নৌকা বঙ্গবন্ধুর, নৌকা শেখ হাসিনার। তাই নৌকা বিরোধীতা করা যাবে না। এ সময় তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলমকে ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করে দেন। ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারন সদস্য পদে ৪৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলম বলেন, দলীয় কার্যক্রম চালাতে গেলে মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে দলীয় বর্ধিত সভার পর থেকে সকল নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকের হয়ে কাজ করছেন। এমনকি কি অন্য দলের নেতাকর্মীরাও আমার পক্ষে কাজ করছেন। আশা করি এ নির্বাচনে আমি জয়লাভ করবো।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাওছার আলম বলেন, আমি বিগত ১২ বছর এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। জনগণের ভালোবাসায় আবার নির্বাচন করছি। ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। আমি আশা করবো নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কোন রাজনৈকি হস্তক্ষেপ না হলে জয় নিশ্চিত।