গরুর ঘাস কাটতে নিজ জমির আইলে যান কৃষক আতাউর জমির। ঘাস কাটার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ পর্যায়ে বিদ্যুতের পড়ে থাকা হাই ভোল্টেজের তারে হাত লাগে তার। নিমিষেই বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারান কৃষক আতাউর। গতকাল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। সে ওই গ্রামের মৃত সোবহান বেপারীর ছেলে।
এলাকাবাসির অভিযোগ গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোনারপাড়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই কৃষক আতাউরের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো। এ সংবাদ পেয়ে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপাপ্ত) তুহিন হোসেন, থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ বেলাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মাস পূর্বে ওই এলাকায় বিদ্যুত লাইন সংস্কার করার সময় কৃষক আতাউর রহমানের জমিতে লাগানো ইউক্লিপটাস গাছের সাথে ১১ কে.বি বিদ্যুৎ লাইনের পোলের টানা লাগানোর সময় বাঁধা দিলেও তা উপেক্ষা করে ঠিকাদারের লোকজন জোরপূর্বক টানাটি লাগায়। এছাড়াও অন্যান্য পোলের টানা গুলো পার্শ¦বর্তী বিভিন্ন গাছের সাথে টানা লাগিয়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা শফিক আহম্মেদ জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর মনে হলে তিনি নিজেই বোনারপাড়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় অবগত করেও ওই টানা গুলো সরানো হয়নি। টানাটি গাছের নিচে হওয়ায় ে কেউ তা ধরলে বিদ্যুতায়িত হবে বলে জানান এলাকার লোকজন। পল্লী বিদ্যুতের এলাকা পরিচালক মামুনুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কথা স্বীকার করে বলেন, গাছের সাথে টানা লাগানো নিয়ম বহির্ভুত কাজ। তাছাড়া নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ তদারকির পর লাইন সংযোগ দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা তদারকি না করেই এই বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। বোনারপাড়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন হোসেন জানান, কারো গাফলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।