মাদক সেবন করায় অতিষ্ঠ হয়ে নিজ সন্তানকে দুই পা ও দুই হাত পিছমোড়া বেঁধে রেখে বৃষ্টির মধ্যে কাঁদায় ফেলে রেখে শাস্তি দিলেন অসহায় পিতা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে বাজার সংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকায় শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ১১ ঘন্টা এভাবে বেঁধে রাখে মাদকসেবী শাওনকে (১৮)। পড়ে শনিবার স্থানীয়রা শাওনকে দড়িবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ঘরে পৌছে দেয়।
জানাযায়, কলাপাড়ার মহিপুর স্লুইস কলোনীর বাসিন্দা ইউনুছ মিয়ার ছেলে শাওন মিয়া গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে কিশোর বয়স থেকে বিভিন্ন ধরণের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। পেশায় মাছ ধরা শ্রমিক শাওন নেশার কারণে নিয়মিত মাছ ধরাও বন্ধ থাকে। এ কারণে নেশার টাকার জন্য এলাকায় ছিঁচকে চুরির সাথেও সে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে তার পরিবার। শাওনকে মাদক সেবন থেকে ফেরাতে ছয় মাস আগে তাকে বিয়ে করায় তার পিতা। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি তার মাদকসেবন।
শাওনের পিতা ইউনুছ মিয়া জানান, শুক্রবার দিনভর তার সাথে মাটি কাটার কাজ করে শাওন। সন্ধায় মাটি কাটার মজুরী পাওয়ার পর তাকে দুইশ টাকা দিয়ে বাজারে পাঠায়। বাজার থেকে সে বাদাম কিনে আসার পথে স্থানীয় দুই মাদকসেবী শাওনকে দিয়ে মাদক কিনে আনতে টাকা দেয়। কিন্তু শাওন তাদের মাদক না দিয়ে সে নিজে সেবন করে। এ নিয়ে রাতে মাদকসেবীরা তার বাসায় এসে গালমন্দ করে। এতে বাধ্য হয়ে শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে তার দুই পা ও হাত বেঁধে বৃষ্টির মধ্যে বাইরে ফেলে রাখেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবন করায় তারা এখন অতিষ্ট। নেশার টাকা না পেলেই সে ঘর ভাংচুর করে, ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের মারতে আসে। এরআগে তাকে দুই পুলিশের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে আটক করেনি। এ কারণে তার মাদকসেবন দিনদিনই বাড়ছে বলে জানান। তাই বাধ্য হয়ে তাকে বেঁধে রেখেছেন মানুষকে যাতে যন্ত্রনা না দেয়।
মহিপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, মাদকসেবীকে বেঁধে রাখার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।