মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে ১০৪টি, ফরিদপুরে ৪৭টি,ইদিলপুরে২০টি ,ভাতগ্রামে ১০টি জামালপুরে ৮ ও খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে১১টি সহ মোট ২০০টি হতদরিদ্র পরিবার নতুন ঘর পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোববার সকালে নতুন ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন। ভূমিহীন ২০০ পরিবারের প্রত্যেককে ২শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত সহ ঘর প্রদান করা হবে। এর পরই নতুন ঘড়ে উঠবেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ঘরগুলো নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এর আগে ১ম দফায় একই প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মাণ করা ১৭৯ টি নতুন ঘরে বসবাস শুরু করেছেন হতদরিদ্র ১৭৯ পরিবার। এই নতুন ঘর পেয়ে হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এ.কে.এম মনিরুজ্জামান ঘড়গুলো পরিদর্শন করে গেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে মুজিব বর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের নির্দেশনা মোতাবেক ঘরগুলো তৈরী করা হয়েছে। সেমিপাকা ঘরগুলো বারান্দাসহ দুই রুম বিশিষ্ঠ। এর সঙ্গে থাকবে রান্নাঘর ও একটি বাথরুম। দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ পাওয়া প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। এ নিয়ে দুই দফায় এই উপজেলায় ৩৭৯ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনেওয়াজ জানান যাচাই-বাছাই করে ভূমিহীন ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধি, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাসহ ‘ক’ শ্রেণীর সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। স্থানীয় অনেকে অসহায় এসব পরিবারকে জমিদান করেছেন। উপজেলায় আরো অনেক গৃহহীন ও ভূমি হীন রয়েছে, তাদের জন্য ৩য় পর্যায়ে সুবিধা দেয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে হতদরিদ্র পরিবারগুলোতে আনন্দের বন্যা বইছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছেন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার খান বিপ্লব জানান বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালের প্রস্তাবনা ছিল বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন, অন্নহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাঁর কন্যা মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্রদের মাঝে ঘর উপহার দিচ্ছেন।