পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ধুলাউড়ি ঘোষপাড়া। এ গ্রামেরই হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবার গোবিন্দ চন্দ্র দাস ও স্বপ্না রানী দাস। সহায় সম্বল কিছুই নেই। অন্যের জমিতে ঝুপড়ি তুলে শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। দিসমজুরী করে সংসার চলে। গোবিন্দ দিনমজুর আর তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। মানুষের বাড়িতে আশ্রিত হয়ে ছিল দীর্ঘ ৩০ বছর। রোববার সকালে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২ শতাংশ জমি ও একটি সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে তারা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। গোবিন্দ বললেন,আজ আমরা জমি ও ঘরের মালিক হইছি। আমাদের একটি আশ্রয় হয়েছে। আমার সন্তানরা এখন বাবার বাড়িতে থাকবে।
ওই গ্রামেরই ৬৫ বছর বয়সী বিধবা সুমিত্র রানী। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত। সাহ্য নিয়ে কোন রকমে জীবন যাপন করেন। মানুষের জায়গায় মাটির ঘরে একা একা মানবেতর জীবন যাপন করতেন। জমি ও ঘর পেয়ে তিনি কেঁদে ফেললেন। তার এই কান্না বেদনার নয়,আনন্দের। বললেন,“শেখের বেটি আমাক একখান ঘর দিছে,জমিও দিছে। ভগবান তার মঙ্গল করবে।” সারাজীবন তাকে আশূর্বাদ করবো।
চাটমোহর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় এমন ২৫টি পরিবার পেয়েছে জমি ও স্বপ্নে ঘর। যারা অন্যের বাড়ি বা জায়গায় বসবাস ও দিনমজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সৈকত ইসলাম জানান,মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে এ উপজেলায় ২৫টি পরিবারকে দুই শতাংশ জমি ও ঘর দেওয়া হলে।