মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধাপে কুড়িগ্রামে ১০৭০জন গৃহহীনকে ঘর প্রদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। রোববার(২০জুন) সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারকে দুই শতক জমিসহ আধা পাকাঘর হস্তান্তর করেন।
শুরুতেই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামে ৯০টি ঘর নিয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প মাঠে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম কুড়িগ্রাম জেলার সাথে সংযুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঁইয়া, রংপুর রেঞ্জর ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম কুড়িগ্রাম জেলার সাথে যুক্ত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন ও উপকারভোগী রিক্সাচালক আক্কুল মিয়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলেন।
নিজের বক্তব্যে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জেলার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় ১০৭০টি ঘর প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে উপকারভোগী রিক্সাচালক আক্কুল মিয়া জানান, ‘আমি রেলের জায়গায় থাকি। একদিন রিক্সা চালায়ে বাড়িত আসি শুনি ঘরের জন্য আমার নাম নিয়া গেইছে। কথাটা শুনি বুকটা আমার বুকটা ঠান্ডা হয়া গেল। আমি বাড়ি নয় যেন ভবিষ্যৎ একটা ঠিকানা পাইলাম। এখানে দুই শতক জমি, দুইটা থাকার ঘর, রান্নাঘর, লেট্রিন, বিদ্যুৎ ও নলকুপ পাইছি। আমরা এখানে যতদিন থাকবো ততদিন আপনার জন্য, আপনার বাবার জন্য, আপনার মায়ের জন্য দোয়া করবো।’